জুন ১: সম্প্রতি ডেনমার্কের গণমাধ্যমের সংবাদে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বুর্যো ডেনমার্কের গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে ইউরোপের অনেক নেতাদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলসহ ইউরোপের অনেক নেতা যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র নিজকে ইন্টারনেটের নিরাপত্তা রক্ষক বলে দাবি করে। কিন্তু বাস্তবে তারা তাদের মিত্রদেশসমূহের নেতাদের ওপর নজরদারি চালায়। এতে বিশ্ববাসী তাদের আসল চেহারা দেখে ফেলে।তাদের গোয়েন্দাগিরি প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র কাউকে বিশ্বাস করে না।
এ ব্যাপারে বৃটনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক টম ফাউডি বলেন, “সত্যিকারার্থে ইউরোপের হুমকি হচ্ছে ওয়াশিংটন”। তার কথা ইউরোপের গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত।
ইউরোপের জানা উচিত যে, আধিপত্যবাদী মার্কিন রাজনীতিকদের একমাত্র বিদেশ নীতি হচ্ছে “আমেরিকা প্রথম” নীতি। যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রতা, অংশীদারিত্ব, বা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থ দেখে। অন্যদের তারা ব্যবহার করে মাত্র।
শিগগিরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপ সফর করবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই তাঁর প্রথম বিদেশ সফর।
এমতাবস্থায় ইউরোপীয়দের মনে রাখতে হবে যে, মার্কিনীরা মুখে যত মিষ্টি কথাই বলুক না কেন, তারা আসলে কারো বন্ধু নয়। বন্ধু হলে তারা গোয়েন্দা নজরদারি চালাতে পারতো না।
তাই ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত চেহারা সবসময় মনে রাখতে হবে বলে সিআরআইয়ের এক সম্পদাকীয়তে বলা হয়।
(আকাশ/এনাম/রুবি)