চীনা অর্থনীতি হলো বৈশ্বিক অর্থনীতির স্ট্যাবিলাইজার: ওইসিডি
2021-06-01 15:22:40

চীনা অর্থনীতি হলো বৈশ্বিক অর্থনীতির স্ট্যাবিলাইজার: ওইসিডি_fororder_7aec54e736d12f2e6cbc307523db436a85356808

জুন ১: অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) গতকাল (সোমবার) সর্বশেষ ‘বিশ্ব অর্থনীতি আউটলুক রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে চীনা অর্থনীতি সম্পর্কে পূর্বাভাস করা হয়েছে। আজকের ‘সংবাদ পর্যালোচনা’য় এ বিষয়ে আলোচনা থাকছে।

প্রতিবেদনটিতে চলতি বছর ও আগামী বছরে বিশ্বের অর্থনীতি, ওইসিডি’র সদস্যদেশগুলোর অর্থনীতি এবং বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক সত্তাগুলোর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে পূর্বাভাস করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২০২১ সালে ৫.৮ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৪.৪ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে চীনের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হবে ৮.৫ শতাংশ, যা সংস্থাটির গত মার্চে প্রকাশিত পূর্বাভাসের চেয়ে ০.৭ শতাংশ বেশি। সংস্থাটির চীনা অর্থনীতিবিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক মাদাম মার্গিট মোলনার বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় চীনা অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন,

“চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত এপ্রিলের তুলনায় আমরা চীনা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে লক্ষ্যণীয় উন্নতি লক্ষ্য করেছি।”

ওইবিডি’র পরিসংখ্যান অনুসারে, চীনা অর্থনীতি, ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগে, ২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের মানে পুনরুদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে চীনা অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির সুপ্তশক্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনের উত্পাদন-শক্তির ব্যবহারের হার প্রায় ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বস্তুত, চীনা অর্থনীতি সক্রিয় অবস্থায় আছে। মার্গিট মনে করেন, চীনা অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারের প্রধান কারণ হলো সরকারের নমনীয় নীতি। তিনি বলেন,

“চীন দ্রুত নীতি ও ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছে। এ ছাড়া, চীন দ্রুত মহামারী নিয়ন্ত্রণ করেছে। সেজন্য অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়েছে।”

ওইসিডি’র অনুমান অনুযায়ী, বিনিয়োগ হলো চলতি বছরে চীনা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি। চলতি বছর চীনের রফতানি আরও বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া, দেশের ভোগ আরও বাড়বে। মার্গিট বলেন, চীন মহামারীর প্রেক্ষাপটে আরেক ধাপে পেনশন, বেকারত্ব ও চিকিত্সার ক্ষেত্রে সংস্কার জোরদার করতে পারে। এক্ষেত্রে সতর্কতামূলক সঞ্চয়কে অনুত্সাহিত করতে হবে। আর এভাবে ভোগকে অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে বজায় রাখতে হবে।

ওইসিডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫.৮ শতাংশ। এর মধ্যে চীনের অবদান থাকবে উল্লেখযোগ্য বেশি। মার্গিট বলেন, চীন হলো বৈশ্বিক অর্থনীতির স্ট্যাবিলাইজার। তিনি বলেন,

“বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি মহামারীর আগের মানে পুনরুদ্ধার হয়নি। এ অবস্থায় চীন অবশ্যই বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের অনুমান অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮ শতাংশ। এর মধ্যে ১.৫৮ শতাংশই হবে চীনের কারণে। সেজন্য বলা যায়, চীনের অর্থনীতি হলো বৈশ্বিক অর্থনীতির স্ট্যাবিলাইজার।” (ছাই/আলিম)