বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী দেশের নতুন যাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন সি চিন পিং
2021-05-28 16:58:35

মে ২৮: প্রযুক্তি একটি দেশের সমৃদ্ধির ভিত্তি এবং উদ্ভাবন একটি দেশের অগ্রগতির মূল কথা। সিপিসি ও চীনের শীর্ষনেতা সি চিন পিং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। সিপিসি’র অষ্টাদশ কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে, সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং অনেকবার প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্যের কথা উল্লেখ করেছেন, তিনিও এক দফা নতুন দাবি পেশ করেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে, উদ্ভাবনকে চীনের উন্নয়নের খাত হিসেবে জোরদার করতে হবে। 

 

২০১৬ সালের ৩০ মে, সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চার হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা বেইজিংয়ের মহা গণভবনে হাজির হন। সেদিন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন সম্মেলন, চীনা বিজ্ঞান একাডেমি ও চীনা ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমি শিক্ষাবিদ সম্মেলন, চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমিতির নবম জাতীয় কংগ্রেসও অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহলের তিনটি বড় ইভেন্ট একসাথে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা বিদেশের মনোযোগ আকর্ষণ করে।

“এটি প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসের আরেকটি প্রযুক্তিগত মহা সম্মেলন।” সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী দেশ নির্মাণের জন্য চেষ্টা” শিরোনামে একটি বক্তব্য দেন, তখন তিনি তিনটি বড় ইভেন্টের উচ্চ পর্যায়ের মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন,

 

“আজ আমরা এখানে এই দারুণ সম্মেলন করছি, ইতিহাসের নতুন সূচনাপর্বে আমাদের দেশের উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শক্তিশালী দেশ নির্মাণ করা উচিত। আমাদের উচিত বিভিন্ন খাতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন জোরদার করা, বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতার সুযোগে কাজে লাগানো। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শক্তিশালী দেশ নির্মাণের জন্য আমাদের সূচনা পয়েন্ট।”

 

সেই সময় থেকে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী দেশ নির্মাণ’ চীনের জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। সেই সময় থেকে সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী দেশ নির্মাণের সময়সূচীও নিশ্চিত হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী দেশগুলোর অগ্রবর্তী দেশের একটি হবে চীন। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী দেশে পরিণত হবে চীন।

“যদি আমরা পরিবর্তন না-করি তবে আমরা উন্নয়নের সুযোগ বা একটি পুরো যুগ হারিয়ে ফেলবো।”


সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং সবসময় দেশের উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে মৌলিক অবস্থানে রেখেছেন। তিনি প্রধান ক্ষেত্রগুলো তৈরি করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে একাধিক সাফল্য অর্জন করেছে চীন।

২০১৯ সালে চীনের ছ্যাংএ-৪ সফলভাবে মিশন সম্পন্ন করেছে এবং চাঁদের অন্ধকার দিকে প্রথম গবেষণা করা হয়েছে। এটি মানবজাতির মহাবিশ্বের রহস্য অন্বেষণে নতুন অধ্যায়ের শুরু।  

 

সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং ছ্যাংএ-৪ মিশনের অংশগ্রহণকারীদের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠককালে আবারও চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতি তাঁর প্রত্যাশা তুলে ধরেন, তিনি বলেন,

“আমাদের উচিত বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নের সাধারণ প্রবণতা গভীরভাবে তুলে ধরা, প্রধান প্রযুক্তিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করা এবং বিশ্বের উচ্চ প্রযুক্তি খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করার চেষ্টা করা।”

 

চীনা জাতির প্রচেষ্টার ভিত্তি হল স্বনির্ভরতা এবং বিশ্বের প্রযুক্তিগত শীর্ষে আরোহণের একমাত্র উপায় হলো স্বাধীন উদ্ভাবন। একটি দেশকে শক্তিশালী হতে চাইলে, জাতিকে পুনর্জীবিত করতে চাইলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজের উপর নির্ভর করতে হবে।

(জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই)