৮০’র দশকে চীনে এক সন্তান পরিবার নীতি জারি ছিল। তবে যদি কোন পরিবারে একমাত্র সন্তান প্রতিবন্ধী হতো, তাহলে দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার অনুমতি পাওয়া যেতো।
আন রানের বাবা-মা তার জন্মের পরে খুশি ছিল না কারণ সে মেয়ে। একজন ছেলে সন্তানকে পাওয়ার আশায় তাকে পঙ্গু হওয়ার মিথ্যা পরিচয়ে বড় করেছেন তারা। কয়েক বছর পরে পৃথিবীতে আসে আন রানের ছোট ভাই।
আন রানের বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠার সময় হলে তাকে তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে নিষেধ করেন তার বাবা মা। কারণ তারা মনে করেন, মেয়েদের দূরদূরান্তের শহরে যাওয়া উচিত্ নয়।
আন রান আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন। স্নাতক শেষ করে চলে যাবেন বেইজিংয়ে। ভর্তি হবেন কোন এক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আন রানের বাবা-মা। তার কাছে রেখে যান মাত্র ৬ বছর বয়সী ছোট ভাইকে।
আন রান এখন কি করবে? ছোট ভাইকে দেখাশোনা, নাকি তার স্বপ্নের পথে যাত্রা? এই প্রশ্ন দর্শকদের কাছে রেখে সিনেমার ইতি টানলেন পরিচালক ইং রৌসি।
স্বল্প বাজেটে ভালো গল্প আর আকর্ষণীয় উপস্থাপনের মাধ্যমে যে দারুণ সিনেমা উপহার দেয়া যায় তার একটি জীবন্ত উপস্থাপন সিস্টার সিনেমাটি- যা আমাদের দেশের অনেক পরিচালকের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই সিনেমার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। অনেকে বলছেন এই সিনেমায় চীনের ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক মূল্যবোধকে এবং সে সময় নারীরা কিভাবে তাদের প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করেছেন তা দারুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
চলতি বছরের ২ এপ্রিল মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা সমসাময়িক সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার তালিকায় সর্বোচ্চ আয়।
চীনের চলচ্চিত্র: সিস্টার
চীনের বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী লি ইয়েনহে এই সিনেমাকে সামাজিক বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে গভীর কাজ বলে অভিহিত করেছেন।
চাং চি ফংয়ের অভিনয় সমালোচক মহলে দারুন প্রশংসা পেয়েছে অনেকে তাকে এই সিনেমার মুল হাইলাইট হিসাবে উল্লেখ করেছেন ।
আপনি যদি পারিবারিক ঐতিহ্যপূর্ণ সিনেমা পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ভাল পছন্দ হতে পারে চায়না ফিল্ম গ্রুপের এই সিনেমাটি।
সৌরভ/হাশিম