সিয়ু মেই চিং
2021-05-27 15:11:30

সিয়ু মেই চিং_fororder_13543848

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরে প্রবাসী জনপ্রিয় চীনা গায়িকা সিয়ু মেই চিংয়ের সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি তার কোমল কণ্ঠ ও সুন্দর প্রেমের গানের জন্য পরিচিত। চীনের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে তার গানগুলো জনপ্রিয়। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শুরুতে একসঙ্গে শুনুন সিয়ু মেই চিংয়ের গাওয়া একটি সুন্দর গান ‘ছড়িয়ে পড়ে’।  গান ১

সিয়ু মেই চিং ১৯৭৪ সালে সিঙ্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামাতা চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের ফুথিয়ান শহরের মানুষ। ১৯৯৩ সালে সিয়ু মেই চিং একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।  প্রতিযোগিতায় তার চমত্কার পারফরম্যন্স বিচারকদের প্রশংসা পায়। এজন্য তিনি একটি সংগীত কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। ১৯৯৪ সালে সিয়ু মেই চিং তার প্রথম অ্যালবাম ‘জেনে নেই’ প্রকাশ করেন। সিঙ্গাপুরে এই অ্যালবাম প্রকাশ হলেও তা চীনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।  বন্ধুরা, এখন শুনুন এই অ্যালবামের সিয়ু মেই চিংয়ের একটি সুন্দর গান ‘জেনে নেই’।গান ২

১৯৯৫ সালে সিয়ু মেই চিং তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘আফসোস’ প্রকাশ করেন। এই অ্যালবাম সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত প্রযোজক ছেন চিয়াং মিং তৈরি করেছেন। এর আগে তিনি চীনের হংকং ও তাইওয়ানের অনেক শিল্পীর জন্য গান রচনা করেছেন এবং বেশ জনপ্রিয় গান তৈরি করেছেন। ছেন চিয়া মিংয়ের রচিত গানগুলোতে সুন্দরভাবে সিয়ু মেই চিংয়ের কণ্ঠের বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়, তার কোমল ও আবেগপূর্ণ কণ্ঠ দ্রুত সবার পছন্দ হয়। বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে শুনবো সিয়ু মেই চিংয়ের খুব জনপ্রিয় একটি গান ‘শহরের জ্যোৎস্না’।  চীনা সংস্কৃতিতে চাঁদ ও জ্যোৎস্না অভাব অনুভবের প্রতীক, তাই এই গানে প্রিয় মানুষকে মিস করার অনুভূতির কথা বলা হয়। সিয়ু মেই চিংয়ের আকর্ষণীয় কণ্ঠে গানটি দারুণ জনপ্রিয় হয়। আর অনেক বিখ্যাত গায়কও তার সঙ্গে এই গান গেয়েছেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন সিয়ু মেই চিংয়ের গান ‘শহরের জ্যোৎস্না’।গান ৩

সিয়ু মেই চিং

১৯৯৭ সালে সিয়ু মেই চিং সিঙ্গাপুর থেকে চীনের হংকংয়ে যান এবং পরে একটি ক্যান্টোনিজ ভাষার অ্যালবাম প্রকাশ করেন। হংকংয়ে আসার পর সিয়ু মেই চিং আরো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তার নতুন অ্যালবাম টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্রির প্রথম স্থানে থাকে। তার গান বার্ষিক শ্রেষ্ঠ গানের পুরষ্কার পায়। বন্ধুরা, এখন শুনুন ১৯৯৭ সালে সিয়ু মেই চিংয়ের প্রকাশিত একটি সুন্দর গান ‘রাতের মানুষ’।গান ৪

বন্ধুরা, ‘রাতের মানুষ’ গানটি কেমন লাগলো? এবার আমরা শুনবো ১৯৯৭ সাল প্রকাশিত ‘বৃষ্টির পর সূর্যালোক’ নামের গান। গানটি খুব উত্সাহমূলক। গানের কথায় বলা হয়: “জীবন চলার পথে রয়েছে সুখ ও দুঃখ, এসব আমি তোমার সঙ্গে ভাগ করতে চাই। কোনো বাধা ও সমস্যা হলেও সাহসের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাও। বিশ্বাস করো, বৃষ্টির পর সূর্য দেখা যাবে, রোদ-ঝলমলে আকাশ রয়েছে কালো মেঘের উপরে, তাই সবকিছু মূল্যবান।” গানটি প্রকাশের পরই তা সিয়ু মেই চিংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানে পরিণত হয়। চীনের জাতীয় মহিলা ভলিবল দল এই গানকে তাদের দলের গান হিসেবে ব্যবহার করেন। বন্ধুরা, এখন শুনবো সিয়ু মেই চিংয়ের জনপ্রিয় ও উত্সাহমূলক গান  ‘বৃষ্টির পর সূর্যালোক’। গান ৫

২০০০ সালে সিয়ু মেই চিং ‘স্ট্যাটিক বিদ্যুৎ’ অ্যালবাম প্রকাশ করেন।  পরে তিনি স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য সংগীতের কাজ বন্ধ করে দেন। এরপর সিয়ু মেই চিং জনকল্যাণে কাজ করতে থাকেন। দারিদ্র্যবিমোচন, দরিদ্র অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষা, গুরুতর রোগের চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন দাতব্য কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বন্ধুরা, এখন শুনুন সিয়ু মেই চিংয়ের গাওয়া একটি সুন্দর গান ‘দিবাস্বপ্ন’।গান ৬

বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা শুনবো সিয়ু মেই চিংয়ের আরেকটি জনপ্রিয় গান ‘আমাকে নিয়ে যাও’। আশা করি আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।গান ৭

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানে শেষ করছি, আশা করি আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে।