মে ২২: চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য-কার্যালয় আজ (শুক্রবার) “তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তি ও সমৃদ্ধ উন্নয়ন”শীর্ষক এক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে।
শ্বেতপত্রে বলা হয়, ১৯৫১ সালের ২৩ মে তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির লক্ষ্যে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার ও তিব্বতের স্থানীয় সরকার এক চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর মাধ্যমে তিব্বতের জনগণ চিরকালের জন্য সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন থেকে মুক্তি লাভ করে। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন জাতির জনগণের সাথে একযোগে উন্নয়নের পথে তাদের অগ্রযাত্রার সূচনাও হয়।
পরিসংখ্যান হলো শ্রেষ্ঠ আয়না। ১৯৫১ সালে তিব্বতের জিডিপি ছিল মাত্র ১২.৯ কোটি ইউয়ান। আর ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯০০০ কোটি ইউয়ানে। একই বছর তিব্বতের শহুর নাগরিকদের মাথাপিছু নিষ্পত্তিযোগ্য আয় ছিল ২০১০ সালের দ্বিগুণ। তিব্বতের গ্রামের বাসিন্দাদের মাথাপিছু নিষ্পত্তিযোগ্য আয়ও টানা ১৮ বছর ধরে দুই অংকে বৃদ্ধি পেয়ে আসছে। গোটা চীনে এমন ঘটনা প্রথম।
তিব্বতের ইস্যু মোটেই জাতিগত, ধর্মীয়, বা মানবাধিকারের ইস্যু নয়। তিব্বত ইস্যু চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখন্ডগত অখন্ডতার সঙ্গে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলোর চীন-বিরোধী শক্তি বার বার চীনের তিব্বতের বিষয়ে না-হক হস্তক্ষেপ করে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য, তিব্বতকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে চীনের অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখা।
শ্বেতপত্রে তিব্বতের ৭০ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরা হয়েছে। চীন সরকার তিব্বতের উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে ও তা বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে তিব্বত ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। এ অবস্থায় তিব্বতকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বস্তুত, তিব্বতের প্রকৃত চিত্রই চীন-বিরোধী শক্তির মিথ্যাচারের যথার্থ জবাব। (ছাই/আলিম/স্বর্ণা)