মে ২২: গতকাল (শুক্রবার) রাতে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং অনলাইনে বিশ্ব স্বাস্থ্য শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। বিশ্বে মহামারী প্রতিরোধে চীনের মনোভাব ফুটে উঠেছে তার ভাষণে, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য অনুকূল।
ভাষণে চীনা প্রেসিডেন্ট মহামারী মোকাবিলায় ৫টি পরামর্শ দিয়েছেন: জনগণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া এবং মানুষের জীবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত; বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মহামারী প্রতিরোধ করা উচিত; সুসংহত হয়ে সহযোগিতা করা উচিত; ন্যায়সঙ্গত সহযোগিতার মাধ্যমে ব্যবধান কমানো উচিত; সমস্যা ও সমস্যার উত্স একসাথে মোকাবিলা করার বিদ্যমান ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা উচিত।
এসব পরামর্শ চীনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসেছে। আর এটা হচ্ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পর্কে চীনের বিশেষজ্ঞদের সুগভীর চিন্তাভাবনার প্রতিফলন।
বর্তমান বিশ্বে মহামারীর অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট সি চীনের ৫টি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে: চীন আগামী তিন বছরের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে আরও ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে; বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চীন আরও বেশি টিকা সরবরাহ করবে; টিকাসংক্রান্ত প্রযুক্তির হস্তান্তর ও উত্পাদনে সহযোগিতায় সমর্থন দেবে চীন; টিকা সহযোগিতা আন্তর্জাতিক ফোরাম প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে টিকার ন্যায়সঙ্গত বিতরণ ত্বরান্বিত করবে, ইত্যাদি। এসব ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক সমাজের জরুরি চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে চীন উপস্থাপন করেছে।
বর্তমান বিশ্বে যে-কোনো সময়ের তুলনায় ‘সুসংহত সহযোগিতা’ বেশি দরকার। চীন বার বার এ কথা বলছে এবং তার জন্য বিভিন্ন বাস্তব পদক্ষেপ নিচ্ছে। (ইয়াং/আলিম/ছাই)