১২২তম জয়ন্তী: বাঙালির নবজাগরণের কবি নজরুল
বাঙালির নবজাগণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাঙালি তার কাছে পেয়েছে প্রেম ও দ্রোহের ভাষা। প্রেম-দ্রোহ ও সাম্যের কবি নজরুল বাংলা সাহিত্য-সংগীত তথা সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান পুরুষ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তার লেখনী ধূমকেতুর মত আঘাত হেনে জাগিয়ে দিয়েছিল ভারতবাসীকে। তিনি পরিণত হন বিদ্রোহের কবিতে।
ছবি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
নজরুলের জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হলেও তার জীবনের ঘটনাবহুল সবকিছুই ঘটেছে এপারে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে দরিরামপুর হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন। নার্গিস আর প্রমীলা দুই নারীর সঙ্গে প্রেম বিয়ে ও বিরহগাঁথায় কবির জীবন আন্দোলিত হয়েছে দারূণভাবে।
সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, রাষ্ট্রীয় অনাচার-বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে অগ্নিকণ্ঠ হয়ে তিনি লিখে গেছেন অসংখ্য কবিতা, গল্প, উপন্যাস, গান। শতবর্ষ পেরিয়েও বর্তমান বাংলাদেশ ও বিশ্বপ্রেক্ষাপটে নজরুল সমান প্রাসঙ্গিক।
ছবি: বাংলাদেশের জাতীয় কবি
বাংলা সাহিত্য-সংগীতের সকল শাখা তার দৃপ্ত সৃজনশীলতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। ১৯৪২ সালে অসুস্থ হয়ে বাকশক্তি হারান কবি। জীবনের শেষ সময়ে ফেরেন স্বাধীন বাংলাদেশে। ১৯৭২ সালে ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে কবিকে স্বপরিবারের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। দেয়া হয় নাগরিকত্ব, ভূষিত হন একুশে পদকে।
১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মহাপ্রয়াণ হয় কবি নজরুলের। তার অমর সৃষ্টিতে সবসময় বাংলাদেশ উজ্জ্বল। তাই তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি, বাংলার জাগরণ , মুক্তি ও স্বাধীনতার কবি। বাঙালির অনিঃশেষ এক প্রেরণার উৎস নজরুল-চেতনা।