দীর্ঘ দুই বছরের করোনা মহামারী দারিদ্র্য এনেছে অনেকের জীবনযাত্রায়। ভালো চাকরি কিংবা ব্যবসা গুটিয়ে অনেকেই নেমেছেন পথে। পরিবর্তন এসেছে পেশায়। এসব মানুষের প্রত্যাশা আসছে বাজেটে তাদের বিষয়টি গুরত্ব দেবে সরকার। হাবিবুর রহমান অভির প্রতিবেদন।
দীর্ঘ ৬ বছর পরিবার নিয়ে ঢাকায় আছেন আবু বাক্কার। ভালো আয়ের প্রত্যাশা নিয়ে বছর দুয়েক আগে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। করোনা মহামারী এসে ওলট-পালট করে দিয়েছে তার সব পরিকল্পনা। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এখন মাস্ক বিক্রি করে জীবন চলছে তার।
ছবি: কাপড়ের ব্যবসা ছেড়ে এখন রাস্তায় মাস্ক বিক্রি করছেন আবু বাক্কার।
তার মতো আরও অনেকের জীবনযাত্রায় দারিদ্র্য এনেছে মহামারী করোনা। লোক লজ্জা উপেক্ষা করে পেটের তাগিদে অনেকেই নেমেছেন রাইড শেয়ারিং ও পণ্য ডেলিভারির কাজে। দীর্ঘ ৬ মাস হলো রাইড শেয়ারিং করে সংসার চালাচ্ছেন শরিফুল ইসলাম। চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে তিনি তার তিক্ত অভিজ্ঞার কথা জানিয়েছেন। আগে নিজের এলাকায় দোকান ছিলো তার, করোনার কারণে সেই ব্যবসা ছেড়ে এখন ঢাকায় বাইকে করে যাত্রী আনা নেয়া করছেন তিনি।
ছবি: রাইড শেয়ারিং করছেন শরিফুল ইসলাম।
এদিকে বড় ব্যবসা গুটিয়ে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ফলের দোকান দিয়েছেন সোহেল রানা। বছর দুয়েক আগেও ভালো বিক্রি হতো। করোনায় মানুষের আয় কমে যাওয়ায় এখন ফলমূল কম বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন সোহেল রানা। আসছে বাজেটে বিনা সুটে ঋণ প্রত্যাশা করেন তিনি। সরকার সহযোগিতা করলে আবারও বড় ব্যবসায় নামতে চান তিনি।
ছবি: ফল বিক্রেতা সোহেল রানা।
মাস খানেক পরেই নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষনা করবে সরকার । জুনের শুরুতেই শুরু হবে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। এবারের অধিবেশনে প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের যেন গুরুত্ব দেয়া হয় এমন দাবি সবার।
প্রতিবারের বাজেটেই এসব মানুষের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বাজেটে বড় অঙ্কের বরাদ্দ রাখে সরকার। কিন্তু সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় এত বড় সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন অনেকেই। তাই এই বিষয়ে সরকারকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান বিশ্লেষকদের।