মে ১৯: এখনো বাইডেন প্রশাসন “যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে” ভুল নীতি মেনে চলছে। ফলে তারা এখনো সারা বিশ্বে যন্ত্রণা ছড়ানো অব্যাহত রেখেছে। করোনা টিকার জাতীয়তাবাদসহ নানা ভাবে বাইডেন প্রশাসন বিশ্বের অন্য দেশের স্বার্থকে আঘাত করে মার্কিন স্বার্থ অর্জন করছে। বর্তমান প্রশাসন অব্যাহতভাবে তার আগের প্রশাসনের বস্তাপঁচা নীতি ত্যাগের ঘোষণা করে আসছে। কিন্তু তারা তাদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ডে বিশ্বকে এক ভিন্ন বার্তা দিয়েছে।
করোনা টিকার জাতীয়তাবাদ টিকার বিতরণে অনেক অবিচার সৃষ্টি করেছে। তা বর্তমান বৈশ্বিক মহমারী প্রতিরোধে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন সরকার করোনা টিকার জাতীয়তাবাদের প্রধান প্রবক্তা। সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে প্রায় ২৬০ কোটি ডোজ টিকা ক্রয় করেছে। তা বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ, এবং নিজেদের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। কোটি কোটি ডোজ অতিরিক্ত টিকা এখন সেদেশের গুদামসমূহে মজুদ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সমাজের চাপের জবাবে বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি কিছু ইতিবাচক কথা বলছে। কিন্তু কথার চেয়ে কাজ সবসময় বড়। চীন ও রাশিয়া তাদের কর্মকাণ্ডে অন্যান্য দেশে টিকা সহায়তা করেছে বা করছে। তবে, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের তেমন কোন বাস্তব পদক্ষেপ এখনো দেখতে পায়নি বিশ্ববাসী।
এসব থেকে বুঝা যায় যে, তারা মুখে তাদের আগের প্রশাসনের নীতি পরিত্যাগ করবে বললেও, বাস্তবে তারা পুরনো নীতিতেই অটল রয়েছে। বাইডেন প্রশাসন এখনো ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে বিশ্বে আরো বেশি যন্ত্রণা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বয়ে আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষণা করেন যে, “যুক্তরাষ্ট্র ফিরে এসেছে”। যদি যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক পরিবারে ফিরে আসতে চায়, তাকে স্বার্থপরতা ত্যাগ করতে হবে এবং বহুপক্ষবাদ আকড়ে ধরতে হবে বলে সিআরআইয়ের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়।(আকাশ/এনাম/শিশির)