চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।
আমাদের আজকের ঈদ স্পেশাল অনুষ্ঠানে আমরা কথা বলবো এমন একজন সেলিব্রিটির সঙ্গে যিনি বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন। তার রয়েছে অনন্য সব অভিজ্ঞতা। আমরা তার সঙ্গে কথা বলবো, শুনবো তার অসাধারণ সব অভিজ্ঞতার গল্প।
আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমাদের আজকের অতিথি বিশ্ব পরিব্রাজক নাজমুন নাহার। ভার্চুয়ালি তিনি যুক্ত হয়েছেন আমাদের সঙ্গে।
আমাদের অনুষ্ঠানে আপনাকে স্বাগত জানাই।
--------------------------------------------------------------
সাক্ষাত্কার: বিশ্বের ১৪৪টি দেশে নিয়ে গিয়েছি বাংলাদেশের পতাকা--- নাজমুন নাহার
নাজমুন নাহার
নাজমুন নাহার
নাজমুন নাহার বিশ্বের ১৪৪টি দেশে নিয়ে গিয়েছেন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা। তিনি বর্তমানে সুইডেন প্রবাসী। সু্ডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেছেন এবং উচ্চতর গবেষণা করছেন। ছোটবেলা থেকেই তার মনে বিশ্ব পরিব্রাজক হওয়ার স্বপ্ন দানা বাঁধে। প্রগতিশীল পরিবারে জন্ম হলেও সামাজিক অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে নাজমুন নাহারকে। তবে তাঁর বিশ্বভ্রমণের স্বপ্নের কাছে সেই বাধাগুলো ছিল তুচ্ছ। তিনি সকল বাধাকে অতিক্রম করে আজ তার স্বপ্নের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। বিশ্ব পরিভ্রমণ করার কৃতিত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে তিনি পেয়েছেন পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা। যে অ্যাওয়ার্ডটি পেয়েছেন বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, মিখাইল গর্বাচেভ, কার্ল লুইস, মায়া এন্জেলিও ও পৃথিবীর বিখ্যাত রাষ্ট্রপ্রধানরা।
এছাড়া নজমুন নাহারের অর্জনের ঝুলিতে যোগ হয়েছে মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা, গেম চেঞ্জার অব বাংলাদেশ, মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল উইমেন অব বাংলাদেশ, গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড, সফল নারী সম্মাননা, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক সম্মাননা।
তিনি সিএমজি বাংলাকে শোনালেন রোমাঞ্চকর অনেক গল্প। যেমন তিনি মরুভূমি পাড়ি দিয়েছেন। অরণ্যে একা থেকেছেন।
তিনি চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও শোনান। কুনমিংয়ের স্টোন ফরেস্ট দেখেছেন তিনি। বেইজিং এবং অন্যান্য শহরেও গিয়েছেন। চীন তার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
তিনি নারীদের সাহসের সঙ্গে জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
---------------------------------------------------------------
মা দিবস নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন
‘মা' ছোট্ট একটা শব্দ, কিন্তু কি বিশাল তার পরিধি! সৃষ্টির সেই আদিলগ্ন থেকে মধুর এই শব্দটি শুধু মমতার নয়, ক্ষমতারও যেন সর্বোচ্চ আধার। মায়ের ভালোবাসা এবং অনুগ্রহ ছাড়া কোনো প্রাণীরই প্রাণ ধারণ করা সম্ভব নয়। আমাদের সবার জীবনে একমাত্র ভরসার জায়গা হলো মা।
জন্মদাত্রী হিসেবে আমার, আপনার, জীবনে মায়ের স্থান সবার ওপরে৷ তাই তাঁকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানানোর জন্য একটি বিশেষ দিনেই কি যথেষ্ট? না, তার হয়ত কোনো প্রয়োজন নেই৷ কিন্তু তারপরও সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে, একজন মানুষের জীবনে মায়ের গুরুত্ব কতখানি।
তাইতো বিশ্বব্যাপী মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘মা দিবস' পালন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।
প্রতিবছরের মতো এবারো বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ আয়োজনই ছিলো ভার্চুয়ালি। অন্যান্য বছরের তুলনায় সবকিছুই হয়েছে সাদামাটা।
মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হন। পরে সমাজের মানুষের কাছে গুরুত্ব বাড়াতে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের সিদ্ধান্ত নেন। অ্যানা জারভিসের সেই ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা মারিয়া জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন।
বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মায়েদের জন্য উত্সর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে বিশ্বের ৩৭টিরও বেশি দেশ মা দিবস পালন করে আসছে।
প্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা। অনুষ্ঠানটি কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন, ঢাকায় এফ এম ১০২ এবং চট্টগ্রামে এফ এম ৯০ মেগাহার্টজে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবং আমাদের সাক্ষাত্কারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.
আজ এ পর্যন্তই। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। সবাইকে ঈদ মোবারক জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি। চাই চিয়েন।
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া, রওজায়ে জাবিদা ঐশী
অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ
সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী