করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশে এবার অনেকেই ঈদের কেনাকাটা সেরেছেন অনলাইনে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব বলছে, মহামারীতে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা কমে যাওয়ায় ঈদের পণ্যের চেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বেচাকিনি হয়েছে বেশি। হাবিবুর রহমান অভির প্রতিবেদন।
ঘরে বসে কম্পিউটারের মনিটরে পণ্য দেখে এবার ঈদের শপিং করছেন অনেকে। করোনায় ভিন্ন পরিস্থিতি, তাই ভিন্ন রকম ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে নগরবাসী। লকডাউনে মার্কেট বন্ধ থাকা কিংবা এই মহামারীর সময় বাসা থেকে বের হয়ে মার্কেটে যাওয়া, সব কিছুর মধ্যেই আশঙ্কা ছিল সবার মাঝে। তাই বহু মানুষের ঈদ কেনাকাটার অনুসঙ্গ অনলাইন। কেউ কেউ পরিবারের ছোট্ট সোনামণি থেকে শুরু করে বয়স্ক পিতামাতা, সবার জন্যই ঈদের পোশাক কিনেছেন অনলাইনে। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় দীর্ঘ কয়েকমাস বাসা থেকে অফিস করছেন সামিনা জামান কাজরী। শপিং করতে মার্কেটে যাওয়া হয় নি তার। পরিবারের সবার জন্য ঈদের কেনাকাটা সেরেছেন অনলাইনে।
ছবি: সামিনা জামান কাজরী।
অনলাইনের এই কেনাকাটা কতোটা সত্যিকারের আনন্দ দেয়? কিংবা পণ্যের মান ও দামের ব্যাপারে কতোটা স্বস্তি দেয় অনলাইন? এমন প্রশ্নে মিশ্র অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ক্রেতারা। ছবিতে আকর্ষণীয় পণ্য অর্ডার করে বাস্তবে হাতে পাওয়ার পর এর কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক গ্রাহক। প্রতারণা ঠেকাতে সরকারকে নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ক্রেতারা।
এবার করোনাকালীন ঈদ বাজারে এক পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে ই কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ- ইক্যাব। সংগঠনটি বলছে, এবারের অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ গেল বছরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি হয়েছে। তবে করোনা মহামারীতে ঈদের পণ্যের চেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অর্ডার হয়েছে বেশি।
আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সাধারণ সম্পাদক, ইক্যাব
ইক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি কাঠামোর মধ্যে আনা গেলে গ্রাহকদের মাঝে এর গ্রহণযোগ্যতা আরো বাড়বে। বিষয়টি নিয়ে একটা খসড়া তৈরি করে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই একটি গাইডলাইন পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিস এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন বছরে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয় অনলাইনে।