মে ১১: প্রথম চীনের আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য মেলা গতকাল (সোমবার) হাইনানের রাজধানী হাইখৌতে শেষ হয়েছে। এবারের মেলায় ব্যাপক পণ্য প্রদর্শিত হয়েছে এবং চীনের বিশিষ্ট পণ্য বিশ্বের বাজারে প্রবেশের জন্য একটি ভাল প্যাটফর্ম পেয়েছে। প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুসারে, ৮০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য মেলায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আজকের সংবাদ পর্যালোচনায় আমি আপনাদেরকে এ বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলবো।
সোমবার বিকালে চীনের হাইনান প্রদেশের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক হান শেং জিয়ান এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ৭০টি দেশ ও অঞ্চলের ১৫০৫টি প্রতিষ্ঠানের ২৬২৮ ধরণের পণ্য এবারের মেলায় প্রদর্শিত হয়েছে। মেলাতে ১৩০টিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মোট ৩০ হাজার ক্রেতা ও পেশাদার এবং ২ লাখ ৪০ হাজার সাধারণ দর্শক মেলায় অংশ নেন।
হান আরও বলেন, এবারের মেলা বিশ্বের সামনে বিভিন্ন ধরনের বিশিষ্ট ভোগ্যপণ্য প্রদর্শন করেছে এবং চীনের ভোগ্যপণ্য বিশ্বের বাজারে প্রবেশের জন্য একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম পেয়েছে। চীনের প্রথম ভোগ্যপণ্য মেলা হিসেবে কুয়াংতং মেলা, পরিষেবা বাণিজ্য মেলা ও আমদানি মেলা যৌথভাবে চীনের গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের গুরুত্বপূর্ণ গণপরিষেবার প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে।
চার দিনব্যাপী প্রথম ভোগ্যপণ্য মেলা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের প্রদর্শনীর জন্য একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এখানে দেশী-বিদেশী ক্রেতা-বিক্রেতার একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভোগ্যপণ্যের চীনের বড় বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগও দিয়েছে এই মেলা। সুইজারল্যান্ড, জাপান, ফ্রান্স ও থাইল্যান্ডের অংশগ্রহণকারীরা এবারের মেলার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
ক্রেতাদের পাশাপাশি সাধারণ দর্শকরাও এবারের মেলার প্রশংসা করেছেন। তাঁরাও মেলা থেকে অনেক বিশিষ্ট পণ্য কিনেছেন।
হাইনান প্রদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক হান শেং জিয়ান আগামী মেলা থেকেও ভালো কিছু আশা করেছেন। তিনি হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দর ও ভোগ্যপণ্য মেলাকে বিশ্বের ভোগ্যপণ্যের মঞ্চে পরিণত করার আশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবারের মেলার ৮০ শতাংশেরও বেশি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় ভোগ্যপণ্য মেলায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিদল আগামী মেলায় অংশ নেওয়ার আশা প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগামী মেলায় নতুন পণ্য নিয়ে আসার কথাও বলেছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে হাইনান বিশ্বের বিশিষ্ট ভোগ্যপণ্যকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এটি দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দর ও ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের সুবিধা কাজে লাগিয়ে, একটি স্থায়ী বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার চেষ্টা করছে হাইনান। এটি দেশী-বিদেশী বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্রান্ডের বাণিজ্যিক চাহিদা পূরণ করতে পারবে। এ ছাড়া, চীনের বড় বাজার হলো আরেকটি সুবিধা। এটি অবশ্যই বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট করবে। দ্বিতীয় চীনের আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য মেলা আরও জনপ্রিয় হবে বলে আশা করা যায়। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)