প্রথম চীন আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৬ মে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এতে অভিনন্দন চিঠি পাঠিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, ভোগ্যপণ্য প্রদর্শন এবং ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চীন আন্তর্জাতিক এ মেলার আয়োজন করেছে। এতে চীনের বাজারের সুযোগ ভাগাভাগি করা যাবে এবং এটি বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও আর্থিক বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক। তিনি আরও বলেন, এই মেলা বিশ্বকে আরও উচ্চমানের ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করার জন্য চীনকে সহায়ক পরিবেশ দিয়েছে।
হাইনান প্রদেশের হাই খৌ শহরে ‘প্রথম চীন আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য মেলায় প্রায় ৭০টি দেশ ও অঞ্চল থেকে প্রায় দেড় হাজার দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
কেপিএমজি চীন এবং দ্য মুডি ডেভিড রিপোর্ট যৌথভাবে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হাইনান মুক্ত বাণিজ্য বন্দরের (এফটিপি) বর্তমান বর্ধমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে খুব দ্রুত তা বিশ্বের বৃহত্তম শুল্কমুক্ত বাজারে পরিণত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের মধ্যে হাইনানে অফশোর শুল্কমুক্ত ব্যবসায় প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতো, যা বর্ধিত শপিং নীতি দ্বারা উত্সাহিত হয়েছিল।
হাইনান এফটিপি-র ব্যবসায়িক পরিবেশ দেশের জাতীয় কৌশল, প্রাতিষ্ঠানিক নকশা ও নীতিকে সমর্থন দেয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এর উন্মুক্ত মুক্ত বাণিজ্য ও অফশোর শুল্কমুক্ত নীতি খুচরা ভ্রমণ শিল্প উন্নয়নের সুযোগ দিয়েছে।
সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উন্নয়নের পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করেছে এবং একটি নতুন আর্থিক বিকাশের ধাঁচ তৈরি করেছে। যাতে দেশি ও বিদেশি দ্বৈত চক্র একে অপরকে এগিয়ে নিচ্ছে।
চতুর্দশ পাঁচসালা পরিকল্পনার আলোকে হাইনান ফ্রি ট্রেড পোর্ট নির্মাণের ভিত্তিতে হাইনান ট্যুরিজম তৈরি হবে এবং প্রাথমিকভাবে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটনের গ্রাহককেন্দ্রে পরিণত হবে। এটি বাইরের বিশ্বে চীনের উন্মুক্তকরণ এবং আরও উন্মুক্তভাবে বিশ্বকে আলিঙ্গনের চীনের দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেছে।
বিশ্বব্যাপী এখনও মহামারী চলছে। চীনের ভোক্তা বাজার অব্যাহতভাবে বাড়ছে। বলা যেতে পারে যে, চীন একটি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল ভোক্তা বাজারে পরিণত হয়েছে এবং এটি বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অবদান রাখবে।