বন্ধুরা, সানস্যিয়ান হলো চীনের ঐতিহ্যগত বাদ্র্যযন্ত্র। সানস্যিয়ান সাধারণত চীনের ঐতিহ্যগত অপেরায় ব্যবহৃত হয়। আজকের অনুষ্ঠানে আমি সানস্যুয়ান বাদক ওয়াং ইউ’র পরিচয় দিবো।
(রেকর্ড)
আপনারা শুনছিলেন ওয়াং ইউ’র বাজানো সানস্যিয়ানের সুর। ৩৩ বছর বয়সী ওয়াং ইউ বেইজিংয়ের বাসিন্দা। তাঁর পরিবার একটি শিল্পী পরিবার। তিনি ১১ বছর বয়স থেকে সানস্যিয়ান শিক্ষা শুরু করেন।
তিনি বলেন, “আমার পরিবার একটি সংগীত পরিবার। আমার দাদাও সানস্যিয়ান বাজাতেন। আমার চাচাও সানস্যিয়ান বাজান। আমাদের পরিবারে বিভিন্ন ধরণের উপাদান দিয়ে তৈরী সানস্যিয়ান আছে।”
ওয়াং ইউ হলেন চীনের বেতার জাতীয় অর্কেস্ট্রার সানস্যিয়ান বাদক। তিনি বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ যুবক সানস্যিয়ান বাজাতে পারে না। তিনি আরও বেশি মানুষকে সানস্যিয়ানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চান। তিনি বলেন,
“আমি অর্কেস্ট্রারের কাজ ছাড়াও, সানস্যিয়ান নিয়ে গবেষণা করি। গত জানুয়ারি মাসে আমি একটি অনলাইন সানস্যিয়ান প্রশিক্ষণ ভিডিও তৈরী করেছি।”
সানস্যিয়ানের দুই হাজার বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এখনো অপেরায় এটি ব্যবহৃত হয়। ওয়াং ইউ’র দৃষ্টিতে সানস্যিয়ানের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষ এতো সুন্দর বাদ্যযন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন। আমাদের উচিত এটি রক্ষা করা। আমি সানস্যিয়ানকে আরও বেশি মানুষের কাছে প্রিয় করে তুলে চাই।’
প্রাচীন সানস্যিয়ানকে নতুন যুগের উপযুক্ত করে তুলতে ওয়াং ইউ সানস্যিয়ানে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন। তিনি বিভিন্ন উপাদান দিয়ে নতুন ধরণের সানস্যিয়ান তৈরীও করেছেন। ২০১৮ সালে বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুদিন সানস্যিয়ান তৈরী করেন তিনি। ডিজিটাল প্রসেসিংয়ের পর সানস্যিয়ানের শব্দ আরও বেশি সুন্দর, আকর্ষণীয় ও মর্মস্পর্শী হয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
‘আমার মনে হয়, রক্ষা ও উন্নয়নের কাজ জোরদার করতে হবে। ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি চাই এর উন্নয়ন।’
ওয়াং ইউ’র জগতে সানস্যিয়ান শুধু একটি বাদ্যযন্ত্র নয়, বরং চীনা সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।