রোববারের আলাপন-২১০৫০৯
2021-05-09 19:42:11

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি এনাম এবং আকাশ।

বন্ধুরা, চীন-মার্কিন ‘পিং পাং কূটনীতি’র ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণ অনুষ্ঠান সম্প্রতি বেইজিংয়ে আয়োজিত হয়। চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ছি সান ও মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার পৃথক ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে তাতে ভাষণ দিয়েছেন। 

তাঁরা ইতিবাচকভাবে ‘পিং পাং কূটনীতি’র মুল্যায়ন করেন এবং আশা করেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র দু’দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের টেলিফোন সংলাপের চেতনা অনুসারে সহযোগিতাকে ফোকাস করে বিতর্ক নিয়ন্ত্রণ করবে এবং বিভিন্ন খাতের আদানপ্রদান ও সহযোগিতা এগিয়ে নেবে। 

‘পিং পাং কূটনীতি’তে তখন অংশগ্রহনকারী প্রায় ৪০০ ব্যক্তি অনলাইন ও সরাসরি স্বরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। 

এনাম ভাই, আপনি প্রথমে আমাদের শ্রোতাবন্ধুদের ‘পিং পাং কূটনীতি’ সম্পর্কে কিছু বলবেন কি? 
এনাম:....
আকাশ: চীনের ভাইস প্রসিডেন্ট ওয়াং ছি সান এ দিনের অনুষ্ঠানে বলেন, ৫০ বছর ধরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কতিপয় সমস্যাসহ সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে। দু’দেশের জনকল্যাণ নিশ্চিত হয়েছে। বিশ্বের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে ত্বরান্বিত করেছে। 

ওয়াং ছি সান জোর দিয়ে বলেন, বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দাড়িয়ে আছে। সহযোগিতা হলে দু’পক্ষই লাভবান হবে। আর সংঘর্ষ হলে দুপক্ষই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে। সহযোগিতা হচ্ছে দু’পক্ষের জন্য একমাত্র সঠিক পথ। দু’দেশের নেতৃবৃন্দের ফোনালাপের চেতনা অনুসারে দু’পক্ষের উচিত সহযোগিতা ফোকাস করা, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিভিন্ন খাতের আদানপ্রদান এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।যাতে দু’দেশের সম্পর্ক সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এবং যৌথভাবে করোনাভাইরাসকে জয় করতে পারে। এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূনরুদ্ধার ত্বরানিত্ব করতে এবং বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আরো বেশি অবদান রাখবে। 

১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে চীনের পিং পাং অর্থাত্ টেবিল টেনিস প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র সফর করে। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর তারাই প্রথম বেসরকারি দল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। জাতীয় খেলাধুলা প্রশাসনের তত্কালীন প্রধান লি ফু কুই জানান, তখনকার সফরে তাঁরা মার্কিন জনগণের উষ্ণ অভ্যর্থনা পান। ‘পিং পাং কূটনীতি” চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের বন্ধুত্ব জোরদার করেছে। 

তিনি বলেন, “চীনের তখনকার প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই গণমহাভবনে আমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বন্ধুত্ব প্রথম স্থানে, প্রতিযোগিতা দ্বিতীয় স্থানে। এ কথা আমাদের মনে গভীরভাবে দাগ কেটিছিল। প্রতিযোগিতার জয়-পরাজয় কোন ব্যাপার নয়, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বিজয়ী হবে।”