মে ৯: সম্প্রতি কতিপয় চীন-বিরোধী ও হংকংয়ে বিশৃঙ্ঘলা সৃষ্টিকারীদেরকে আইন অনুসারে হংকংয়ের আদালত সাজা দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে কিছু কিছু মার্কিন রাজনীতিক ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। এমনকি তারা সেসব অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার অযৌক্তিক দাবী জানাচ্ছেন। অথচ এসব রাজনীতিকরা “নীতি-ভিত্তিক” আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। কিন্তু হংকং বিষয়ে তাদের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। এব্যাপারে তাদের কর্মকাণ্ড একেবারেই স্ববিরোধী। এতে প্রতিফলিত হয় যে, মানবাধিকারের অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপে তারা কখনো পিছপা হন না। আর এটি হচ্ছে তাদের আসল চেহারা।
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না-করা হচ্ছে জাতিসংঘ সনদের গুরুত্বপূর্ণ নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতি। এবং বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষার মৌলিক উপাদান। আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচার রক্ষার জন্যও তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে জাতিসংঘ “আন্তর্জাতিক আইনের নীতি বিষয়ক ঘোষণা” পাস করেছে। এতে বলা হয়, যে কোন দেশ বা দেশসমূহের কোন অজুহাতেই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বা কূটনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।
কতিপয় মার্কিনী এসব আন্তর্জাতিক নীতির অবহেলা করে বারবার চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে আসছে এবং চীন-বিরোধী ও হংকংয়ে বিশৃঙ্ঘলা সৃষ্টিকারীদের অপরাধকে প্রশ্রয় দিয়ে চলছে। তাতে বিশ্ববাসী আরো স্পষ্টভাবে দেখতে পারছেন যে, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের আড়ালে তাদের আসল লক্ষ্য হচ্ছে হংকংয়ে বিশৃঙ্ঘলা সৃষ্টি করা ও চীনকে বাধা দেওয়া।
হংকং তার মানবাধিক ও স্বাধীনতাকে “হংকং মৌলিক আইন” অনুসারে পূর্ণভাবে রক্ষা করে আসছে। মার্কিন রাজনীতিকদের অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না। আজকের হংকংয়ে বাইরের কোন অপশক্তির ছায়া মুক্ত বলেও সিআরআইয়ের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়। (আকাশ/এনাম/রুবি)