প্রথম চীন আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য মেলা উদ্বোধন, বিভিন্ন দেশ চীনা বাজারের সুযোগ কাজে লাগাবে
2021-05-07 15:35:10

প্রথম চীন আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য মেলা উদ্বোধন, বিভিন্ন দেশ চীনা বাজারের সুযোগ কাজে লাগাবে_fororder_908fa0ec08fa513dc36e89243b6323f3b3fbd91f

মে ৭: গতকাল (বৃহস্পতিবার) ‘প্রথম চীন আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য মেলা’ চীনের হাইনান প্রদেশের হাই খৌ শহরে উদ্বোধন করা হয়েছে। যা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানের ভোগ্যপণ্য প্রদর্শন এবং বিনিময়ের মঞ্চ স্থাপন করেছে। এতে দেশ-বিদেশের প্রায় দেড় হাজার প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো এবং চীনা বাজারের সুযোগ কাজে লাগানোর আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন।

 

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ও-চা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দরের নীতি এবং ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ থাইল্যান্ড-চীন স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি দু’দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারের জন্য সহায়ক হবে।

তিনি বলেন,

আমি এটা জানতে পেরে আনন্দিত যে, থাইল্যান্ডের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগ ও হাইনানের বাণিজ্য বিভাগ স্মারকলিপি স্বাক্ষর করবে; যাতে বাণিজ্যিক সহযোগিতা, বিশেষ করে মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা, আন্তঃদেশীয় ই-কমার্স সহযোগিতা জোরদার করা যায়। আমি আশা করি, এই স্মারকলিপি হাইনানের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারণ করবে।

 

এবারের মেলায় সুইজারল্যান্ড ‘গেস্ট অফ অনার’ দেশের মর্যাদা পেয়েছে। সুইজারল্যান্ডের প্যাভিলিয়নে সে দেশের ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের সর্বশেষ পণ্য ও সেবা প্রদর্শিত হচ্ছে। সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট গাই পার্মেলিন অভিনন্দন বার্তায় বলেন, তিনি আশা করেন সুইজার‍ল্যান্ড-চীন সম্পর্ক আরো সমৃদ্ধ হবে। চীনে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বের্নার্ডিনো রেগাজোনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অভিনন্দনবার্তা পড়ে শোনান। তিনি বলেন,

এ আমন্ত্রণ দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের সম্পর্কের প্রতিফলন। দু’দেশের সম্পর্ক টেকসই সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে জোরদার হবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়বে।

 

জানা গেছে, মেলা চলাকালে সুইজার‍ল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও ফ্রান্সসহ ২১টি দেশের প্রায় ৫০জন কূটনীতিক মেলা পরিদর্শন করবেন।

 

দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ জোরদার সংস্থা- কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির বৃহত্তর চীনের প্রধান প্রতিনিধি হং চেং পিও বলেন, মেলায় দক্ষিণ কোরিয়ার ৫৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তিনি আশা করেন, এবারের মেলার মাধ্যমে চীনা বাজারে কাজ করার আরো বেশি সুযোগ পাওয়া যাবে।  

তিনি বলেন,

হাইনান দ্বীপ চীনের ভোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো এতে অনেক গুরুত্ব দেয়। তারা সক্রিয়ভাবে এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে। তারা চীনা ব্যবসায়ী ও চীনা বন্ধুদের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রেষ্ঠ মানের ভোগ্যপণ্য তুলে ধরছে। যা খুব তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাপার।

 

‘প্রথম চীন আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য মেলার’ মোট আয়তন ৮০ হাজার বর্গমিটার; যা এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য মেলা। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভোগ বিভাগের প্রধান চু সিয়াও লিয়াং জানান,

ফলাফল নিশ্চিত করা, দক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করা, মুনাফা নিশ্চিত করা, বাজারায়ন, আন্তর্জাতিকীকরণ, পেশাদারীকরণ ও তথ্যায়নের চিন্তাধারায় ভোগ্যপণ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ‘হাইটেক, নতুনত্ব, বিশেষায়িত ও শ্রেষ্ঠত্ব’- এই চিন্তাধারাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক পেশাদার মেলা পরিচালনার নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। মেলায় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভোগ্যপণ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যাতে এই মেলাকে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্যের বিশ্বব্যাপী প্রদর্শন ও বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে উন্নত করা যায়। এক দিকে বিভিন্ন দেশের ভোগ্যপণ্য চীনের বাজারে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে, অন্যদিকে চীনের পণ্য বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগও লাভ করেছে।

(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)