গণপরিবহন চালু রেখে বিধিনিষেধ বাড়লো ১৬ মে পর্যন্ত
2021-05-07 19:03:32

গণপরিবহন চালু রেখে বিধিনিষেধ বাড়লো ১৬ মে পর্যন্ত_fororder_sheng1

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু রেখে চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। গত বুধবার জারি করা এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে ৫ মের পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে। করোনার সংক্রমণ রুখতে ঈদের ছুটি তিনদিন ঘোষণা করা হয়েছে এবং চাকরীজীবীিদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমেছে করোনার সংক্রমণ

চলমান লকডাউনের ফলে কমতে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে সর্বাত্মক লকডাউন বলবৎ করে সরকার। লকডাউনের প্রথম দিকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার স্থির থাকলেও এখন দুটোই কমেছে। ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনে সবাই বিধিনিষেধ মানলে এ হার আরও কমে আসবে। গত বুধবার বিকেল চারটা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওইদিন করোনা শনাক্তের হার ছিল শতকরা ৯ শতাংশেরও কম।

বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ

ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসা বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে টিকার নিবন্ধন। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রেও টিকার ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ডোজের। দ্বিতীয় ডোজের টিকার ঘাটতি মেটাতে এবং নতুন করে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে চীন ও রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে টিকা আনার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এর আগে গত সপ্তাহে জরুরি ব্যবহারের জন্য চীনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার।

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌনে দুই কোটি ছাড়িয়েছে

ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পৌনে দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে দেশটিতে। এর মধ্যেই টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। গত মার্চের মাঝামাঝিতেও ভারতে এক দিনে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত ৩০ এপ্রিল ভারতে প্রথম এক দিনে চার লাখের বেশি মানুষের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত কয়েক দিন ধরে দেশটিতে গড়ে সাড়ে তিন হাজারের মতো মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে।দেশটির হাসপাতালগুলোতে আর আসন সংকুলান হচ্ছে না এবং সেখানে অক্সিজেনের গুরুতর সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, তার প্রতি ৩ জনের ১জনই হয়েছে ভারতে। ধারণা করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরন ও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নানা আয়োজিত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আয়োজনের কারণে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ভারত এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তৃতীয়তে রয়েছে ব্রাজিল।

অক্সিজেন সংকটে ভারতের পাশে দাড়িয়েছে চীন

করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া ভারতের পাশে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে চীন। বেশ কিছুদিন ধরে ভারতকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর্স ও ভেন্টিলেটরসহ প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামাদি সরবরাহ করছে দেশটি। দিল্লিতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত সান উইডং মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় বলেন, প্রায় ৫ হাজার ভেন্টিলেটর, ২২ হাজার অক্সিজেন জেনারেটর, ৩ হাজার ৮০০ টন মেডিকেল সরঞ্জামাদি এবং ২ কোটিরও বেশি মাস্ক ভারতকে সরবরাহ করেছে চীন। - তানজিদ/রহমান