বদলে যাওয়া নারীদের গল্প
2021-05-07 18:31:37

বদলে যাওয়া নারীদের গল্প_fororder_ban

সিনচিয়াংয়ে গত দুই দশকে পরিস্থিতি অনেক পালটে গেছে। বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে উন্নয়নটা রীতিমতো বিস্ময়কর। সিনচিয়াংয়ের সাচি জেলার নারী, দুই সন্তানের জননী মিনাওয়ার মেমেত। তিনি সন্তান জন্মদানের সময় পাচ্ছেন ফ্রি চেকআপ, ভ্যাকসিন, হাসপাতালের সুবিধা এবং নগদ সহায়তাও। অথচ তার মা আতিহান ইয়াকুপ যখন সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন তখন এসব সুবিধা কিছুই ছিল না।

আতিয়ান বলেন,‘তখন জীবন ছিল কঠিন। মেয়েরা চাকরি করতেন না। আমরা শুধু পারিবারিক কৃষিক্ষেত্রে কাজ করতাম আর ঘরসংসার দেখতাম। আমাদের হাতে কোন টাকা পয়সা থাকতো না। ’

আতিয়ানের সন্তান জন্ম নেয় বাড়িতেই, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। তখন পাঁচ ছয়টি সন্তান জন্ম নিলে তিন চারটি বেঁচে থাকতো। শিশু মৃত্যুর হার ছিল বেশি।

 ‘আমার মেয়ের দুটি বাচ্চাই তো হাসপাতালে হলো। কত সুযোগ, চিকিৎসা সেবা পেয়েছে ও। আমি তো এসব চোখেও দেখিনি। এখন অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। আমরা প্রচুর সুবিধা পাচ্ছি ’।

বদলে যাওয়া নারীদের গল্প_fororder_ban1

আতিয়ান তার মাতৃত্বের সময় পুষ্টিকর খাদ্যও তেমন পাননি। তখন নারীর শিক্ষার অবস্থাও ভালো ছিল না। প্রাইমারি বা খুব বেশি হলে জুনিয়র স্কুল পাশ করা পর্যন্তই ছিল নারীর শিক্ষা। বিয়ে হয়ে যেত অল্প বয়সে। সন্তান ধারণের বিষয়েও নারীর কোন মতামত গ্রাহ্য করা হতো না। এখন নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করছে। চাকরি করছে। সন্তান ধারণে তারা নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে পারছে। তাই তারা দু তিনটির বেশি সন্তান গ্রহণ করছে না। কারণ নিজের পেশাগত জীবনে তারা উন্নতি করতে চাচ্ছে। আতিয়ানের মেয়ে মিনাওয়ার দুটির বেশি সন্তান নিতে ইচ্ছুক নয়।সে এই দুটি সন্তানকেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাচ্ছে। এভাবেই বদলে যাচ্ছে, উন্নত হচ্ছে সিনচিয়াংয়ে নতুন প্রজন্মের নারীদের জীবন।

(প্রতিবেদক: শান্তা মারিয়া)