মে ৭: সম্প্রতি লন্ডনে আয়োজিত জি-সেভেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে চীন পুনরায় ছায়া অংশগ্রহণকারীতে পরিণত হয়। যদিও চীন অংশ নেয়নি, তবুও সাত সদস্যদেশ চীনসম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হলো নিয়মের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা সুরক্ষা করা। আসলে যুক্তরাষ্ট্র হলো আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার বৃহত্তম লঙ্ঘনকারী। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য বিভিন্ন অজুহাতে চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
গত জানুয়ারি থেকে মার্কিন নতুন সরকার সবসময় আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার অজুহাতে বহুপক্ষবাদকে বাধা দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র সার্বিকভাবে একপক্ষবাদ সুরক্ষা করছে।
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না-করা হলো জাতিসংঘের সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি ও মৌলিক নিয়ম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র দেশগুলোকে একাট্টা করে চীনের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্ঠা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রয়োগ করে বা হুমকি দিয়ে আন্তর্জাতিক মৌলিক নীতি লঙ্খন করে আসছে। সেদেশ বহু বার সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ শুরু করেছে।
বিশ্বে আসল বহুপক্ষবাদ প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশের উচিত জাতিসংঘের সংবিধানে মেনে চলা এবং একপক্ষবাদ ও আধিপত্যবাদ কার্যকর হতে না দেওয়া। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)