২৪ রমজান পার হলেও, এখনো জমে উঠেনি রাজধানীর ঈদ বাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন এতদিন গণপরিবহন চালু না থাকায় মার্কেটে লোক সমাগম হয় নি। শিগগিরই পরিস্থিতি ভালো হওয়ার প্রত্যাশা তাদের । হাবিবুর রহমান অভির প্রতিবেদন।
জুতা দোকানি সিরাজুল ইসলাম। দীর্ঘ ১৫ বছর ব্যবসা করছেন পান্থপথের জুতার মার্কেটে। মার্কেটের এমন দশা এর আগে কখনো দেখেননি তিনি। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও তার দোকানে কাস্টমার এসেছেন তিনজন, আর বিক্রি হয়েছে এক জোড়া জুতো।
পান্থপথের অন্যান্য দোকানিরাও ঈদে ভালো বেচাকেনার প্রত্যাশা নিয়ে দোকান খুলে ছিলেন, কিন্তু দিন শেষে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন অনেকে। একটি দোকানের সেলসম্যান বিপ্লব সাহা বলেন, অন্যান্য ঈদে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিক্রি হয়, এবার ২ লাখ টাকাও বিক্রি হবে কিনা এ নিয়ে সন্দিহান তিনি।
এ মার্কেটের ঠিক বিপরীতে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। এখানে যারা শপিং করতে এসেছেন অধিকাংশই ব্যাক্তিগত গাড়িতে করে। মার্কেটে লোকসমাগম থাকলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন বেচাকেনা আশানুরূপ নয়। দোকানে অনেকেই ঢুকছেন জিনিসপত্র দেখছেন কিন্তু কিনছেন খুব কম সংখ্যক মানুষ।
বিপণিবিতানের বিক্রেতারা বলছেন, এতদিন গণপরিবহন চালু না হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারে। ঢাকার ভেতরে বাস চলাচল শুরু হয়েছে, শিগগিরই মার্কেটে বেচা বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের। বিক্রেতারা বলেন, ঈদের সময় ঢাকার বাইরে থেকে অসংখ্য মানুষ মার্কেট করতে আসেন। এবার সেটা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না তাদের।
অফলাইন মার্কেটে দুরবস্থা থাকলেও, বিক্রেতারা বলছেন, তাদের যেসব অনলাইন পেজ আছে সেখান থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন তারা।