২০২০ সালে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় চীনা কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্য
2021-05-01 16:11:18

চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের জাতীয় সম্পদ কমিশন সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলেছে, ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নেট মুনাফা ছিল ১.৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান আরএমবি, যা ২০১৯ সালের চেয়ে ২.১ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের নেট মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশ-পরিকল্পনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তথাপি চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশের পরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবেই বাস্তবায়িত হয়েছে। বিশেষ করে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নকাজ কখনও বন্ধ হয়নি।

জাতীয় সম্পদ কমিশনের মহাসচিব ও মুখপাত্র ফেং হুয়া গাং সম্প্রতি বলেন, যদিও ২০২০ সালে মহামারীর কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মসংস্থান ও সরঞ্জাম পরিবহনের কাজ অনেক কঠিন ছিল, তবুও প্রতিষ্ঠানগুলো ভালভাবে নিজেদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে স্থিতিশীলভাবে বিদেশে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় নেওয়া পরিকল্পনার বাস্তবায়নকাজ কখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তিনি বলেন,

“চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশে ৬ শতাধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যেমন, জাকার্তা-বান্দুং দ্রুতগতির রেলওয়ে ও চীন-লাওস রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ মহামারীর কঠিনতা অতিক্রম করে এগিয়ে গেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ২০২০ সালে চীন-বেলারুশ শিল্প এলাকায় নতুন প্রবেশ করেছে ১০টি প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত এলাকায় মোট ৬৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং বিনিয়োগের পরিমাণ মোট ১.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জর্জিয়া’র ই৬০ এক্সপ্রেস সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এসব পরিকল্পনা ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় করা হয়েছিল।’

জানা গেছে, এ পর্যন্ত চীনের ৮১টি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় গৃহীত পরিকল্পনার সংখ্যা ৩৪০০টিরও বেশি।

ফেং বলেন,

“সার্বিকভাবে মহামারী প্রতিরোধ এবং কাজ ও উত্পাদন পুনরুদ্ধারের ভিত্তিতে, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অবকাঠামো খাতের নির্মাণ, শিল্প, আর্থ-বাণিজ্যিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নব্যতাপ্রবর্তন ও জনস্বার্থ খাতে বাস্তব সহযোগিতা উন্নত করে গেছে।’

তিনি বলেন, আরও উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ বাস্তবায়ন করতে হবে। ইতিবাচকভাবে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে হবে, যাতে বিদেশে পরিকল্পনাগুলো থেকে  মুনাফা আরও বাড়ানো যায়।