যতই দিন যাচ্ছে ততই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে কোভিড-১৯। যার প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও।
করোনার আঘাতে দেশের ২৪ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। ব্র্যাক ইনিস্টিটিউট অব গভার্নেন্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। এতে উল্লেখ করা হয়, গবেষণায় অংশ নেয়া ২০০ নারী উদ্যোক্তাদের ৯০ শতাংশ করোনার আঘাত কাটিয়ে উঠতে ব্যাংক ও আর্থিক খাত থেকে কোনো ঋণ সহায়তা পাননি। ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা আগে থেকেই ব্যাংকিং লেনদেনে থাকলেও সংকটের সময়ও তাদের বেশির ভাগই ব্যক্তিগত খাত বা পারিবারিক উৎস থেকেই ঋণ করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের একটি গবেষণা বলছে, বৈশ্বিকভাবে পুরুষ ব্যবসায়ীর তুলনায় বেশি ঝুঁকিতে আছে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি পৃথিবীর ২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ৩৫ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর এক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে ফেসবুক। তাদের মধ্যে এক চতুর্থাংশ নারী উদ্যোক্তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। গেল ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তাদের মাঝে ২৯ শতাংশের ব্যবসা গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের সময়েই বন্ধ হয়ে যায়। ১৬ শতাংশের বন্ধ হয় গেল অক্টোবরের মধ্যে। আর শেষ ফেব্রুয়ারি নাগাদ আরও ২৪ শতাংশের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পুরুষ থেকে নারী উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি সূচকের দিক থেকেও সব থেকে বেশি।
তবে এতো সব ঝুঁকির মধ্যেও ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের কিছুটা আশার মুখ দেখাচ্ছে অনলাইন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়েই অফলাইন থেকে অনলাইন মাধ্যমে গ্রাহকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বেশি। গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল কমিনিউকেশন টুলস ব্যবহার করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, পৃথিবীর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ব্যবসা-উদ্যোগ ফেসবুক এবং ফেসবুক মালিকানাধীন বিভিন্ন অ্যাপ ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পাশেও থাকতে চায় প্ল্যাটফর্মটি।
(প্রতিবেদক: রওজায়ে জাবিদা ঐশী)