ঘামাচি তাড়ান এভাবে
2021-04-30 19:20:58

ঘামাচি তাড়ান এভাবে_fororder_d4

বাংলাদেশের মতো আবহাওয়ার দেশে অতি পরিচিত একটি সমস্যার নাম ঘামাচি। এ সমস্যা দেখা দেয় মূলত গ্রীষ্মকালের উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায়। ঘামাচি যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে সহজে বাঁচা যায় এ সমস্যা থেকে। জেনে নিন ঘামাচির সমস্যা থেকে বাঁচবেন কিভাবে – সে উপায়।

আলু থেরাপি: আলুর রস ঘামাচির এক মহৌষধ। পাতলা পাতলা করে আলু কেটে ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে মিনিট পাঁচেক ঘষুন। এভাবে দিনে অন্তত ২ বার আলুর ফালি ঘষুন ত্বকে। ঘামাচি চলে যাবে সহজে, সেই সঙ্গে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।

আইচ থেরাপি: ঘামাচির যম বরফ। তিন-চার টুকরো বরফ পাতলা সুতির কাপড়ে পেচিয়ে পুঁটলি বানান। এবার সে পুঁটলি আলতো করে ঘামাচি-আক্রান্ত ত্বকে ঘষুন। দিনে তিন-চার বার এমন করলে ঘামাচি সমস্যায় ফল পাওয়া যাবে ম্যাজিকের মতো।

অ্যালোভেরা থেরাপি: অ্যালোভেরার রস উন্নতমানের প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ঘামাচি উপশমে অ্যালোভেরা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে তার রস ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে ঘষুন। এভাবে দিনে অন্তত ২ বার ত্বকে অ্যালোভেরার রস লাগান। ঘামাচি দ্রুত দূর হয়ে যাবে।

নিমপাতা ট্রিটমেন্ট: নিমপাতা ঘামাচির আরেক যম। এ পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ঘামাচি নিরাময় করে। নিমপাতা বেটে বা ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচি-আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং মিনিট বিশেক  পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে চার-পাঁচ বার ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ মুক্তি মিলবে ঘামাচি থেকে। নিমপাতা পানিতে সিদ্ধ করে শরীরে লাগালেও ঘামাচি দূর হয়।

ছোলার ডালের পেস্ট:  ঘামাচি সারাতে আরেকটি মহৌষধ ছোলার ডালের পেস্ট। পাঁচ থেকে সাত ঘন্টা ছোলার ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভাল করে বেটে বা ব্লেন্ড করে নিন। তারপর সেই পেস্ট ঘামাচির ওপর লাগিয়ে পনেরো মিনিটের মতো রাখুন এবং তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঘামাচি কমে যাবে সহজেই।

মসুর ডাল ও কাঁচা হলুদের পেস্ট: দুই থেকে চার ঘন্টা মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে তার সঙ্গে ডালের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ কাঁচা হলুদ নিয়ে বেটে বা ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর সে পেস্ট ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট দশেক রাখুন। দূর হবে ঘামাচি।

বেসন-মধু থেরাপি: ঘামাচির জ্বালা থেকে বাঁচতে দারুণ কার্যকরী এই থেরাপি। বেসন, গোলাপজল ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে লাগান। মিনিট কুড়ি পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এতে সহজেই ঘামাচি কমে যাবে।

মুলতানি মাটি: ঘামাচি সমস্যা উপশমে মুলতানি মাটি বেশ কার্যকর। চার চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চামচ গোলাপজল ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর সে পেস্ট ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট বিশেক রাখুন এবং তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে দিনে বার দুয়েক লাগালে ঘামাচি থেকে সহজে মুক্তি মিলবে।

বেকিং সোডা: বেকিং সোডা ঘামাচি সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে। এক কাপ ঠাণ্ডা পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় সে পানিতে ভিজিয়ে ঘামাচি-আক্রান্ত স্থানে লাগান। বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

শসা থেরাপি: ঘামাচির চুলকানি দূর করতে শসা বেশ কার্যকরী। শসা পাতলা পাতলা করে কেটে ভাল করে ঘামাচি-আক্রান্ত স্থানে ঘষুণ। মিনিট ত্রিশেক পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ফিটকিরি: ফিটকিরি আরেকটা উপাদান যেটি ঘামাচির জ্বালা উপশমে ভাল কার্যকর। খানিকটা পানির মধ্যে ফিটকিরি গুলিয়ে তারপর সে মিশ্রণটিতে এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে গায়ে লাগান। ঘামাচি দূর হবে সহজে।