মহামারির পর প্রথম ‘বড়’ ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে
2021-04-28 10:05:45

কিছু দিন পর শুরু হবে পয়লা মে অর্থাত্ লেবার দিবসের ছুটি। এবার সারা চীনে ৫ দিনের জাতীয় ছুটি পালিত হবে। ছুটির সময়ে আবহাওয়াও থাকবে পর্যটনের জন্য খুব উপযুক্ত। এবারের ছুটিতে মহামারির পর সবচেয়ে বেশি মানুষ ভ্রমণ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে জনপ্রিয় কয়েক শহরে হোটেল ও পারিবারিক হোটেল বুকিং অনেক বেড়েছে। তাই দামও সাধারণ দিনের তুলনায় বেশি।

সম্প্রতি শেনচেন শহরের একটি বাণিজ্যিক হোটেলে অনেক মানুষকে চেক-ইন করতে এবং অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তখন হোটেলটির ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছিল। হোটেলের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে হোটেলের বুকিং হার এমনই আছে। যদিও তাদের গ্রাহকদের মধ্যে এখন ৬০ শতাংশ ব্যবসায়ী, তবে পয়লা মে ছুটির জন্য অনেক পরিবার তাদের হোটেলে রুম বুকিং করেছে।

শেনচেনের কয়েকটি বাণিজ্যিক হোটেল থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের পয়লা মের রুম বুকিং ২০১৯ সালের মানে ফিরে এসেছে। হোটেলের তুলনায় পরিবারিক হোটেলের বুকিং হার আরও বেশি। একটি পরিবারিক হোটেলের মালিক জানিয়েছেন, আগে তাদের রুম পয়লা মের কিছু দিন আগে বুকিং হতো, তবে চলতি বছর এপ্রিল মাস থেকে মানুষ মে মাসের রুম বুকিং শুরু করেছে। ছুটির সময়ে একটি রুম পেতে হলে দু সপ্তাহ আগে বুকিং করতে হয়। আর নিজের পছন্দের রুম বুকিং করতে হলে আরও আগে বুকিং করতে হয়।

হোটেলের দামও ৩০-৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গড় দাম ২,০০০ ইউয়ানের কাছাকাছি। চীনের একটি পর্যটন ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শেনচেন শহরে লেবার দিবসের ছুটিতে হোটেল বুকিংয়ের পরিমাণ ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩.৪ গুণ বেশি। রুমের দাম গড়ে ১২০২ ইউয়ান। তা ২০১৯ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। পরিবারিক হোটেলের বুকিং ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় ১.৮ গুণ বেশি। গড় দাম ১৫৬৭ ইউয়ান। তা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি।

 

২০২০ সালে মহামারিতে নানা শিল্প আঘাত পেয়েছে। হোটেল তাদের মধ্যে একটি। ২০২০ সালের প্রথমার্ধে অনেক হোটেল বন্ধ হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২১ চীনা হোটেল উন্নয়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে চীনের মূল ভূ-ভাগে মোট ৫৯ হাজার ১৫টি রুম বন্ধ হয় এবং হোটেলের ২,২৯৪ হাজার রুম হ্রাস পায়। চলতি বছরের প্রথমার্ধে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় হোটেল চেনের সংখ্যা ৪.৫ শতাংশ এবং একক হোটেলের সংখ্যা ১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তা হোটেল শিল্পের পুরুদ্ধার প্রবণতা বলে মনে করা হয়।

(শিশির/এনাম/রুবি)