লিন চুনচিয়ে আবার জে জে লিন নামেও পরিচিত। তিনি ১৯৮১ সালের ২৭ মার্চ সিঙ্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হচ্ছেন চীনা ভাষার একজন বিখ্যাত পপসংগীত শিল্পী ও সুরকার ।
২০০৩ সালে তিনি তাঁর প্রথম ক্রিয়েটিভ অ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং পরের বছরে তাঁর এ অ্যালবাম ১৫তম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা নতুন শিল্পী পুরষ্কার জিতে। ২০০৪ সালে তিনি “দ্বিতীয় স্বর্গ” অ্যালবামের প্রধান গান “দক্ষিণা নদী” দিয়ে ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে আজকের “তোমার জন্য গান” অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদের “দক্ষিণা নদী” গানটি শোনাব।
২০০৬ সালে জে জে প্রথমবারের মতো একক ভ্রাম্যমান সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ২০১৪ সালে তাঁর “তোমার কারণে আছি” অ্যালবাম ২৫তম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা চীনা ভাষার গায়ক পুরষ্কার জিতে। ২০১৬ সালে “গোধূলি” গান দিয়ে তিনি ২৭তম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা রচয়িতা পুরষ্কার জিতেন।
তাহলে বন্ধুরা, এখনই আমি আপনাদের “গোধূলি” গানটি শোনাব, কেমন?
“হাজার বছর পরে” জে জের গাওয়া একটি গান। গানটি তাঁর ২০০৫ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত “নম্বর ৮৯৭৫৭” অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত হয়। ২০০৬ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সিসিটিভি’র বসন্ত উত্সব গালায় গানটি গান এবং দেশব্যাপী “সেরা গান অনুষ্ঠান”-এর চ্যাম্পিয়ন হন। এ ছাড়া, গানটি আরো বিভিন্ন ধরনের পুরষ্কার জিতে। আচ্ছা প্রিয় বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি আপনাদের জে জের “হাজার বছর পরে” গানটি শোনাই। কেমন? শুনুন তাহলে গানটি।
২০০৮ সালে জে জে প্রথমবারের মতো একটি নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছরের অক্টোবরে তিনি “সিক্সোলজি” নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। হংকংয়ের গায়িকা শার্লিন চইয়ের সঙ্গে তাঁর গাওয়া দ্বৈত গান “ডিম্পলস” অনেক জনপ্রিয় হয়। ফলে হংকংয়ের গানের বাজারে তিনি স্থান লাভ করেন। আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো, কেমন?
“গ্রীষ্মের বাতাস বইছে” জে জে ও চীনের মূল-ভূভাগের গায়িকা চিন শার গাওয়া একটি দ্বৈত গান। গানটি দু’জনের ২০০৫ সালে প্রকাশিত নিজস্ব অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত হয়। একবার যখন দু’জন কথাবার্তা বলেছিলেন, চিন শা তাঁর নিজের একটি প্রেমের গল্প উল্লেখ করেন। কথাগুলি শুনতে শুনতে গানের সুর জে জের মাথায় আসে। সুতরাং তিনি ওই রাতে গানটি সৃষ্টি করেন। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি আপনাদের দ্বৈত গানটি শোনাই, কেমন? শুনুন তাহলে গানটি।
যখন জে জের বয়স ১৬ বছর ছিল, তাঁর এক বান্ধবী তাঁকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন। কিন্তু দু’জন প্রেমিক না হয়ে ভালো বন্ধু হন। কিন্তু ১৯৯৭ সালে মেয়েটি এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর লাগেজে জে জে’র একটি ছবি ছিল। খবরটি শুনে জে জে অনেক কষ্ট পান। ২০১৩ সালে তিনি ব্যাপারটির মুখোমুখি হবার সিদ্ধান্ত নেন এবং “প্রেম চর্চা’ গানটি সৃষ্টি করেন। জে জে গানটির মধ্য দিয়ে প্রকাশ করতে চান যে, কোন কোন ভালোবাসা হারালে আর ফিরে আসে না। পরের ভালোবাসা আরো সুন্দর হবার জন্য, এটি একটি চর্চা। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে জে জে’র গানের মধ্য দিয়ে আমরা একসঙ্গে তাঁর হৃদয়ের কথা শুনি।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, গান শুনতে শুনতে আমরা আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানের একদম শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। তবে, অনুষ্ঠানের শেষে আমি আপনাদের জে জের আরেকটি গান শোনাতে চাচ্ছি। গানের নাম “সে বলে”। আশা করি, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের ভালো লেগেছে। (প্রেমা/এনাম)