বন্ধুরা, বর্তমানে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কুয়াংস্যি চুয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পরিদর্শন করছেন। কুয়াংস্যিতে তিনি প্রধানত তিনটি বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন: প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম; গ্রামের পুনরুজ্জীবন; ও স্থানীয় বীরদের স্মরণ করা।
২৫ এপ্রিল সকালে সি চিন পিং প্রথমে কুয়াংস্যির কুইলিন শহরের ছুয়ানচৌ জেলার ছাইওয়ান থানায় অবস্থিত রেড আর্মির লং মার্চের স্যিয়াংচিয়াং যুদ্ধের স্মৃতি উদ্যানে পরিদর্শন করেন। স্যিয়াংচিয়াং যুদ্ধ হলো রেড আর্মির লং মার্চের একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। প্রেসিডেন্ট সি’র নির্দেশনায় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এখানে স্মৃতি-উদ্যান নির্মিত হয়। এদিন তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অপর্ণ করেন এবং উদ্যানে অবস্থিত জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
তিনি গ্রামের পুনরুজ্জীবনের কাজ দেখতে একই দিন সকালে ছুয়ানচৌ জেলার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মাওচু গ্রাম পরিদর্শন করেন। মাওচু গ্রামের মোট ৪৬টি পরিবারের ১৫৬ জন বাসিন্দা আছে। গ্রামটির আয়তন ০.৬ বর্গকিলোমিটার। সি চিন পিং গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে গ্রাম পুনরুজ্জীবন ও সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। মাওচু গ্রাম আঙ্গুর চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। বর্তমানে গ্রামটিতে বছরে আঙ্গুর উত্পাদিত হয় ৫০ হাজার কেজিরও বেশি। এখানে মাথাপিছু বার্ষিক আয় ৩০ হাজার ইউয়ান আরএমবি’র বেশি। শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামে সুন্দর নতুন বাড়িঘর নির্মিত হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে আয়োজিত কেন্দ্রীয় গ্রাম কাজকর্ম সম্মেলনে সি বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন পরিকল্পনা সফল হওয়ার পর চীন সার্বিকভাবে গ্রামের পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। এটি হলো কৃষি, কৃষক ও গ্রামের প্রতি ফোকাসের ঐতিহাসিক পরিবর্তন।
পরিদর্শনকালে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম দেখা ছিল সি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একই দিন বিকালে সি চিন পিং লিচিয়াং নদীর ইয়াংশুও এলাকায় নদীর বহুমুখী দূষণ মোকাবিলা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কুইলিন শহর সার্বিকভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন ও খাঁচায় মাছ চাষসহ বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক আচরণ বন্ধ করেছে এবং লিচিয়াং নদীর পরিবেশ পুনরুদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে লিচিয়াং নদীর অববাহিকায় বনের আয়তন ৮০ শতাংশের বেশি। নদীটির মূল ধারার জলের গুণগত মান অনেক উন্নত হয়েছে।
এবারের কুয়াংস্যি পরিদর্শন হলো চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের এ বছরের পঞ্চম পরিদর্শন। চতুর্দশ পাঁচসালা পরিকল্পনার প্রথম বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কুয়াংস্যিয়ে প্রথম দিনে সি চিন পিং তিনটি জায়গা পরিদর্শন করেন। তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, গ্রামের পুনরুজ্জীবন ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষার খোঁজখবর নেন। (ছাই/আলিম)