আরসিইপি বাণিজ্যিক সহযোগিতাসংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের সেমিনার ছিং তাওয়ে আয়োজিত
2021-04-26 15:39:43

এপ্রিল ২৬: ‘রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ’ (আরসিইপি) স্বাক্ষরিত হওয়ার পর প্রথম এ সংক্রান্ত বড় আকারের বাণিজ্যিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারটি গত ২৪ এপ্রিল চীনের সান তোং প্রদেশের ছিং তাওয়ে আয়োজিত হয়। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী আরসিইপি সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিরা আশা করেন, এ চুক্তি তাদের দেশ ও অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি যোগাবে। 

আরসিইপি গত বছরের ১৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়। আরসিইপিভুক্ত দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি।উন্নয়নের সম্ভাবনাও উজ্জ্বল। এমন প্রেক্ষাপটে দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল। 

২৪ এপ্রিল ছিং তাওয়ে আয়োজিত ফোরামে মালয়েশিয়া-চীন বাণিজ্যিক কাউন্সিলের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছেন ইয়াও জং বলেন, আরসিইপি’র সদস্যদেশসমূহের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীলভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। আরসিইপি সাক্ষরিত হওয়ার ঘটনা অঞ্চলটির অর্থনৈতিক একীকরণ ও মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য মাইলফলকস্বরূপ। তিনি মনে করেন, আরসিইপি সদস্যদেশসমূহের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি যোগাবে। 

তিনি বলেন, “আরসিইপি সদস্যদেশসমূহের পারস্পরিক সরবরাহ চেইনের আন্তঃসংযোগকে জোরদার করবে। মহামারী সরবরাহ চেইনকে নষ্ট করেছে, এখন আরসিইপি তাকে মেরামত করবে। পাশাপাশি, আরসিইপি সদস্যদেশসমূহের অর্থনীতি উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে ও পূর্ব-এশিয়ার একীকরণ প্রক্রিয়ার মানও উন্নত করবে। আর এভাবে ‘একসাথে পুনরুদ্ধারকাজ ত্বরান্বিত করা, একসাথে সুযোগ শেয়ার করা ও একসাথে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া’-র চূড়ান্ত লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যাবে।” 

থাইল্যান্ডের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী সানসার্ন সামালাপা বলেন,আরসিইপি হচ্ছে একটি উচ্চ মানসম্পন্ন চুক্তি। তিনি মনে করেন, আরসিইপি বাস্তবায়িত হওয়ার পর, তা অঞ্চলটির বাণিজ্যিক পরিবেশ উন্নত করবে। এতে বিদেশি পুঁজি আকৃষ্ট হবে। 

তিনি আরও বলেন, “আমাদের উপ-প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় থাইল্যান্ডে আরসিইপি অনুমোদনের কাজ সামনে এগিয়ে চলেছে। সম্প্রতি তিনি থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি নতুন আরসিইপি তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছেন। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন মহল আরসিইপি সম্পর্কে জানতে পারবে।”
   
ফিলিপিন্সের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী রেমন লোপেজ বলেন, আরসিইপি তার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।

তিনি বলেন, “চুক্তি শুধু আমাদের মৌলিক রপ্তানিপণ্যের জন্য বাজার প্রদান করবে তা নয়, বরং তা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হবে। পাশাপাশি, ফিলিপিন্স ও চীনের মধ্যে আরও শক্তিশালী ও জয়-জয় অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার জন্য চুক্তিটি সাহায্য করবে।”

ফোরামে “একযোগে আরসিইপি অঞ্চলের বাণিজ্যিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ছিংতাও উদ্যোগ” প্রকাশিত হয়। স্বচ্ছ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক,বৈষম্যহীন ও নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকে উদ্যোগটি সমর্থন দেয়। পাশাপাশি, উদ্যোগটি আহ্বান জানায় যে, বিভিন্ন দেশ ইতিবাচকভাবে আরসিইপি সেবা প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে সদস্যদেশসমূহের বাজারে প্রবেশ করার জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ সাহায্য পায়। 

এপ্রিল ২৬ , ২০২১
চায়না মিডিয়া গ্রুপ(সিএমজি) থেকে আকাশ