মিয়াও বাটিক নিয়ে ভাগ্য ফেরালেন তরুণী
2021-04-26 14:55:43

মিয়াও বাটিক নিয়ে ভাগ্য ফেরালেন তরুণী_fororder_9-1

মিয়াও বাটিক নিয়ে ভাগ্য ফেরালেন তরুণী_fororder_9-2

মিয়াও বাটিক নিয়ে ভাগ্য ফেরালেন তরুণী_fororder_9-3

এপ্রিল ২৬, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: দক্ষিণ পশ্চিম চীনের কুইচোও প্রদেশের একজন তরুণী সিনইং ওয়াং। ২১ বছর বয়সী এই তরুণী বাস করেন তানচাই জেলায়। তিনি মিয়াও জাতির মেয়ে। মিয়াও এথনিক বাটিক শিল্পের ধারা ধরে রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয় এই বাটিকশিল্প তার ভাগ্যও ফিরিয়ে দিয়েছে। ছয় বছর বয়স থেকে এই বাটিকের কাজ শিখতে শুরু করেন ওয়াং।

মিয়াও বাটিক হলো ওই এথনিক গ্রুপের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিল্প। এর মাধ্যমে তারা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তি প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয় ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। বাটিক করা কাপড়গুলো দেখতে যেমন অভিজাত তেমনি নকশাদার ও রঙিন। এটি চীনের জাতীয় অবস্তুগত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে।

২০১৭ সালে দারিদ্র্য দূরীকরণের আওতায় তানচাইয়ের ওয়ানডা টাউন(একটি প্রতিষ্ঠান) সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বহন করেন এমন ব্যক্তিদের নিজের ব্যবসা খোলার আহ্বান জানায়। ওয়ানডা টাউন ভবনে তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য ভর্তুকি দেয় এবং ভাড়ামুক্ত জায়গা দেয়।  

ওয়াং এবং তার পরিবার একটি বাটিক ওয়ার্কশপ স্থাপন করে। সেখানে আগত দর্শকরা বাটিকের কাপড় তৈরি দেখতে পারবেন, শিল্পটি সম্পর্কে জানতে পারবেন । পাশাপাশি বাটিকের কাপড় বিক্রিরও উদ্যোগ নেন তারা।

তাদের দক্ষতায় অল্পদিনের মধ্যেই নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়ে নেন ওয়াং পরিবার। তারা দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হন। এপ্রিল মাসে সিনইং ওয়াং শাংহাই ফ্যাশন উইকে অংশ নেন।

তিনি বলেন, ‘শহরের উঁচু উঁচু ভবনগুলো খুব সুন্দর। তবে আমি আমার হোমটাউনেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।একমাত্র বাটিক আমাকে দূরে নিয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতে আমি ফ্যাশন ডিজাইনে বাটিক যোগ করে ভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করবো। বাইরের মানুষ আমাদের ঐতিহ্যবাহী শিল্প সম্পর্কে জানবে ও সেটিকে ভালোবাসবে।’

শান্তা মারিয়া

তথ্য ও ছবি: চায়না ডেইলি