সিনচিয়াংয়ের কুছা শহরের কাছে কৃষক পরিবারের তরুণী মেয়ে জিলাইহান আয়শা যখন বাড়ি থেকে অনেক দূরের বোলে শহরে একটি চাকরি পেলেন তখন সুযোগ গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি।মাসে পাঁচ হাজার ইউয়ানের এই চাকরি জীবন বদলে দেয় তার।তিনি অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাতে পারেন।বাবাকে সাহায্য করেন।তার উপার্জনের টাকাতেই কেনা হয় পরিবারের প্রথম গাড়ি।চাকরি করার জন্য জীবনে প্রথম পরিবারের বাইরে গিয়ে অন্য জায়গায় বসবাস করতে হয় তাকে।
তিনি বলেন, ‘আমি একা ভ্রমণ করেছিলাম।ট্রেনে ৩২ ঘন্টা চলতে হয়েছিল।আমি দেখেছিলাম পাহাড়ের সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য।গ্রামের এক সরকারি কর্মকর্তা আমাকে এই চাকরির কথা বলেছিল।সে বলেছিল তুমি কি চাকরি করতে চাও? আমি বেতনের অংকটা শুনে মনস্থির করে ফেলি।’
আয়শার মা তুরসুন গুল রেজেপ ভয় পেয়ে যান।বাড়ি থেকে এতদূরে গিয়ে চাকরি করবে মেয়ে? তিনি তখন অসুস্থ। তার চিকিৎসার টাকাও ছিল না।তার প্রচণ্ড মন খারাপ হয়।কিন্তু আয়শা সাহস করে যোগ দেন চাকরিতে।
আয়শা বলেন, ‘আমি যদি তখন চাকরিতে যোগ না দিতাম তাহলে মায়ের চিকিৎসা হতো না।তিনি মরে যেতেন।কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
চাকরি আয়শাকে দিয়েছে দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস।তিনি এখন শহরের মেয়েদের মতো নিজের প্রসাধন ও পোশাকেও টাকা ব্যয় করেন।তার পাঠানো টাকা দিয়ে পরিবারের গাড়ি কেনা হয়েছে।ছোটবোন ও পরিবারের জীবনমান বেড়েছে। তার ভবিষ্যত পরিকল্পনাও অনেক। তিনি বলেন, ‘আমি আমার হোমটাউনে একটি অনলাইন দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে চাই।’
এর মধ্যেই ব্যবসার কাজও শুরু করেছেন আয়শা।একটুসাহস, উদ্যোগ ও একটি চাকরি এভাবেই বদলে দিয়েছে আয়েশা ও তার পরিবারের জীবন।
(শান্তা মারিয়া / আনন্দী)