শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের খবরাখবর, বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভাবান-সৃষ্টিশীল তরুণদের জীবন ও কর্ম নিয়ে সাজানো আমাদের এ অনুষ্ঠান। খ্যাতিমানদের কৃতি মানুষ হয়ে ওঠার অনুপ্রেররণা, সৃষ্টিশীল তরুণদের স্বপ্ন, তাদের জীবনের আনন্দ-বেদনার গল্প নিয়েই ‘আপন আলোয়’।
এ পর্বে থাকছে:
১. প্রতিবেদন: ১১তম জাতিসংঘ চীনা ভাষা দিবস পালিত
২. পান কু: ইতিহাসের জন্য খ্যাত
৩. অন্তরঙ্গ আলাপন: মীর বরকত, অধ্যক্ষ, কণ্ঠশীলন
-------------------------------------------------------------
রবীন্দ্রনাথের শিশুতীর্থ নিয়ে অনুষ্ঠান করার সময় লোকছড়ার বিষয়ে আগ্রহ জন্মায়: মীর বরকত, অধ্যক্ষ, কণ্ঠশীলন
মীর বরকত
পড়ায় ফাঁকি দিচ্ছেন না- গৃহশিক্ষককে তা বোঝাতে জোরে জোরে কবিতা আবৃত্তি করতেন ছোট বেলায়!ভালো লেগে গেলো কবিতা, ভালোবাসা তৈরি হলো আবৃত্তির জন্য। তারপর গত চার দশকেরও বেশি সময়ের নিরলস ও নিবেদিত প্রচেষ্টায় দেশের আবৃত্তিচর্চায় করে নিয়েছেন নিজের স্থান।
বাংলার চিরায়ত লোকছড়াকে তুলে এনেছেন আবৃত্তির বনেদি কাঠামোয়। দেশের অন্যতম বাচিকশিল্পচর্চার সংগঠন কণ্ঠশীলনের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর শিল্পিত-পথযাত্রার স্মৃতিচারণ করলেন সবার ভালোবাসার আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক মীর বরকত।
-------------------------------------------------------------
১১তম জাতিসংঘ চীনা ভাষা দিবস পালিত
১১তম জাতিসংঘ চীনা ভাষা দিবস ২০ এপ্রিল পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রথম ভিডিও উত্সব জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে ‘বসন্তের ভাষা’ শীর্ষক থিম সংপ্রকাশ করে সিএমজি। গত ১৮ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই উত্সবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি ও জাপানসহ বিশ্বের ২৭টি দেশের মোট ৩৪০টিরও বেশি চীনা ভাষার ভিডিও প্রদর্শিত হয়।
ভিডিও উত্সবে অংশগ্রহণকারীরা একই ভাষায় ভিন্ন ধরনের মতামত প্রকাশ করেন বলে মন্তব্য করেন সিএমজি’র মহাপরিচালক শেন হাই সিয়োং।
সিএমজির মহাপরিচালক শেন হাই সিয়োং বলেন, ‘‘গুইয়ু এই দিনটি বসন্ত থেকে গ্রীষ্মের সুন্দর রূপান্তরকে চিহ্নিত করে, সবকিছুর বিকাশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং সাংচিয়ের চাইনিজ ক্যারেক্টার আবিষ্কারকে স্মরণ করে। এই গুইয়ু দিনে জাতিসংঘে চীনা ভাষা দিবস অনুষ্ঠিত হওয়াটি উপযুক্ত হয়েছে।’
উত্সবে বক্তব্য রাখছেন সিএমজির মহাপরিচালক শেন হাই সিয়োং
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে নিযুক্ত চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ছেন স্যু, জেনিভা কার্যালয়ের মহাপরিচালক তাতিয়ানা ভারোভায়া প্রমুখ।
১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় চীনা ভাষা। আর জাতিসংঘ অধিবেশনের কর্মভাষার মর্যাদা লাভ করে ১৯৭৩ সালে।
-------------------------------------------------------------
প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ আমাদের সমৃদ্ধ করবে। চীন আন্তর্জাতিক বেতার-সিআরই বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla আপনার মন্তব্য করতে পারেন। সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্ক জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।
পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।
প্রতিবেদন: হোসনে মোবারক সৌরভ, শান্তা মারিয়া
ছবি ও অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া
সাক্ষাত্কার গ্রহণ, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম।