এপ্রিল ২২: অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল (বুধবার) ঘোষণা করেন যে, “এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগের আওতায় সেদেশের ভিক্টোরিয়া রাজ্য চীনের সাথে যে স্মারক স্বাক্ষর করেছে, তা বাতিল করা হবে।
তিনি জানান, এর কারণ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক নীতির সাথে তা সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আসলে এটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কতিপয় কূটনীতিবিদের চীনকে বাধা দেওয়ার অপচেষ্টা।
আসলে অস্ট্রেলিয়া সরকারের এবারের কর্মকাণ্ড “এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগের আওতায় সহযোগিতার উপর তেমন প্রভাব আরোপ করতে সক্ষম হবে না। বরং এতে করে বিশ্ববাসী অস্ট্রেলিয়ার কিছু রাজনীতিবিদের মন্দ চেহারা দেখতে পেয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার “এক অঞ্চল, এক পথ” বিষয় নিয়ে রাজনীতি করে নিজের স্বার্থকে নষ্ট করেছে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার জনকল্যাণের পথকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
গত ৭ বছর ধরে “এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগের বিরুদ্ধে অপবাদ কখনো এ উদ্যোগের আওতায় সহযোগিতার সম্প্রসারণে বাধা হতে পারেনি। অংধিকাংশ দেশের এ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করার আগ্রহও কমাতে পারেনি। ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত “এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগের আওতায় চীন ইতোমধ্যে ১৩৮টি দেশ ও ৩১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে ২০১টি সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিছু কিছু অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিবিদদের অপরাজনীতি “এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগকে প্রভাবিত করতে পারবে না। এতে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার নিজের সুনাম নষ্ট হবে। সম্প্রতি সিআরআইয়ের এক সম্পাদকীয়তে এসব বলা হয়।
(আকাশ/এনাম/শিশির)