এবারের লকডাউনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা, এমন দাবি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন দোকানপাট বন্ধ থাকায় বড় ঋণের মুখে পড়ছেন তারা। ঈদের আগে দোকানপাট খুলে দেয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। হাবিবুর রহমান অভির প্রতিবেদন। “স্বাস্থ্য বিধি মেনে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ব্যবসায়ীদেরও দিনে কয়েক ঘণ্টা করে সুযোগ দিলে আমরা চলতে পারতাম।“
বলছিলেন, মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সমিতিরি সেক্রেটারি জেনারেল সুব্রত সরকার। তার দাবি, লকডাউনে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন শো-রুম কিংবা শপিং মলের মালিকরা।
সুব্রত সরকার, সেক্রেটারি জেনারেল, মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সমিতি
কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা অত্যাধুনিক ব্র্যান্ডের মোবাইল, এসব কেনাকাটার বড় মার্কেট রাজধানীর মাল্টিপ্যান সেন্টার। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে প্রতিদিন বেচাকেনা হয় কয়েক কোটি টাকার, কিন্তু সরকারের দেয়া লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছে সবকিছু। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মার্কেটটির হাজারো কর্মচারী। পরিবারের নিত্যাদিনের চাহিদা মেটানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তাদের জন্য।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিরি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শেখ নাঈম বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউন চলতে থাকায়, মাথায় চেপেছে বড় ঋণের বোঝা। এ বিপদের সময়ে ব্যবসায়ী পাশে দাড়াতে সরকারকে আরও আন্তরিক হবার আহবান জানান শেখ নাঈম।
“ করোনায় না মারা গেলেও আমরা না খেয়েই মারা যাবো। এখনো যদি সরকার আমাদের ব্যবসা করার সুযোগ না দেয় তবে আরো বেশি বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমাদের অনেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে বাড়ির দলিল বন্ধক রেখে, স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছি। এবার মৌসুম ধরতে না পারলে আমরা রাস্তায় নামতে পারবো না, বাড়ি থেকে বের হতে পারবো না”।
শেখ নাঈম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি
দোকান মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, আসছে ঈদের আগে দোকান পাট খুলে দেয়া না হলে বড় বিপদের মুখে পড়ে যাবেন ব্যবসায়ীরা।
অর্থনীতিবেদদের পরামর্শ, জীবন ও জীবিকা রক্ষার সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই।
লকডাউন দীর্ঘায়িত হলেও যেন অর্থনীতিতে ধস না নামে সে ব্যাপারে এখনই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার পরমর্শও তাদের।