এপ্রিল ২৩: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিং থেকে এক ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে বিশ্ব জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ভাষণে তিনি “একযোগে মানুষ ও প্রকৃতির যৌথ কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা”র প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের উচিত বহুপক্ষবাদ বজায় রাখা এবং দায়িত্ব শেয়ার করার পাশাপাশি পার্থক্যও বজায় রাখা। বস্তুত, তাঁর ভাষণ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক্-নিদের্শনাস্বরূপ।
গত বছর জাতিসংঘের ৭৫তম অধিবেশনে সি চিন পিং ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামী ২০৩০ সাল থেকে চীন কার্বন নিঃসরণ ক্রমাগত কমাতে শুরু করবে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন-নিরপেক্ষ দেশে পরিণত হবে। চীনের এ নির্ধারিত সময় অনেক উন্নত দেশের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। তাই এটা বাস্তবায়নে চীনকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
অবশ্য, চীন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। উজবেকিস্তানের একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, একটি বড় দেশ হিসেবে, পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে চীন তার প্রতিজ্ঞা বিশ্বকে দেখিয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক সমাজের একযোগে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার আত্ববিশ্বাস বাড়বে।
সি চিন পিং তার ভাষণে বলেছেন, উন্নত দেশসমূহকে আরও বড় উচ্চাশা ও বাস্তব কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করা উচিত। উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য অর্থ ও প্রযুক্তিসহ নানান খাতের সমর্থন প্রদান করা উচিত। প্রেসিডেন্ট সির এ আহ্বান মূলত অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশের মনের কথা।
“আমাদের হাতে অপচয় করার মতো সময় নেই। বিভিন্ন দেশের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করা।” জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরহিস সম্প্রতি এ কথা বলেন। জরুরি সময়ে কিভাবে এ “পৃথিবীকে রক্ষার” যুদ্ধ জয় করা যাবে? প্রসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণ থেকে বিশ্ব এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পারে। উত্তরটা হচ্ছে: “হাতে হাতে রেখে সহযোগিতা করা উচিত, পরস্পরকে অভিযুক্ত করা উচিত নয়; নীতিমালা দীর্ঘমেয়াদী থাকা উচিত, অল্প সময়ে পরিবর্তন হবে না; পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি বজায় রাখা উচিত।”
(আকাশ/আলিম/শিশির)