মেডোগ কাউন্টি জলবিদ্যুৎ স্টেশন নির্মিত হবে তিব্বতের ইয়ারলং জাংবো নদীর অববাহিকায় মিলিন কাউন্টির পাই গ্রাম থেকে মেডোগ কাউন্টির সিরং গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত "বিগ বেন্ড" উপত্যকায়।
২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চীনের “১২টি জাতীয় জলবিদ্যুৎ শক্তি ভিত্তি” নির্মাণ এবং সেগুলোতে উত্পাদন শুরুও হয়। তবে, ২০২০ সালের পর থেকে চীনের জলবিদ্যুৎ বিকাশের মূল দিকটি ধীরে ধীরে দক্ষিণ-পূর্ব তিব্বতে স্থানান্তরিত হবে। এটি একটি আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও কঠোর, প্রযুক্তিগতভাবে জটিল ও তাত্পর্যপূর্ণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
জলবিদ্যুত উত্পাদনে জ্বালানি প্রয়োজন হয় না। এটি একটি সস্তা নবায়নযোগ্য সবুজ শক্তি। তাই এটি পরিবেশবান্ধব। এ ধরনের প্রকল্প একটি দেশের মোট কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করে। চীন গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখবে।
তবে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে ভারত। ভারত বলছে, নদীর পরিবেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং ভারতের জলের প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে, ভারতের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য, অন্য কোনো কাজের জন্য নয়। আমাদের দেশের ইয়ারলুং জাংবো নদীর সম্পদের ব্যবহারের হার ১ শতাংশেরও কম। অতীতেও আমরা আমাদের নিজেদের দেশে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছি এবং ভারতের সাথে জলবিদ্যুৎসম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করেছি। এসব কেন্দ্র বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি কার্যকরভাবে হ্রাস করেছে।
একটি প্রচলতি কথা এমন: "প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক সোনার চেয়েও মূল্যবান"। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ গোটা বিশ্বের জন্যই কল্যাণকর। আশা করা যায় যে, ভারত এ নিয়ে বেশি হৈচৈ করা বন্ধ করবে। (জিনিয়া/আলিম/শুয়েই)