এপ্রিল ১৮: ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের শীর্ষ সম্মেলনের পর একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়। এর মূল বিষয়ই হলো একসাথে চীনকে মোকাবিলা করা। পূর্ব চীন সাগর, দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ান, হংকং, সিনচিয়াং ইত্যাদি বিষয় এতে স্থান পেয়েছে। অথচ এসব বিষয় চীনের স্বার্বভৌমত্ব ও মৌলিক স্বার্থের সাথে জড়িত। এ বিবৃতি দেখে মনে হয়, জাপান হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দাস বা দাবার ঘুঁটি।
সংশ্লিষ্ট জাপানি রাজনীতিবিদদের জানা উচিত যে, তাইওয়ান বিষয় চীনের মৌলিক স্বার্থের সাথে জড়িত। যদি জাপান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একযোগে এ বিষয়ে চীনকে চ্যালেঞ্জ করে, তবে চীন অবশ্যই প্রতিক্রিয়া দেখাবে। ২০২২ সাল হবে চীন ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। জাপানের প্রশাসন কি সত্যিকার অর্থেই বিরোধের মাধ্যমে এ ঐতিহাসিক বছরকে স্বাগত জানাতে চায়?
যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে তার মিত্রদের সাথে আচরণ করে, তা জাপানের রাজনীতিবিদরা অবশ্যই জানেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলার জন্য, যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে কাজে লাগিয়েছে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সামরিক সম্পর্কের বিষয়টি খোদ জাপানেও বিতর্কিত। বহু জাপানি বিশ্বাস করেন, ভবিষ্যতে কোনো সশস্ত্র যুদ্ধ হলে, জাপানই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বস্তুত, জাপানের সংশ্লিষ্ট অপরাজনীতিবিদরা নিজেদের অপকর্মের ফল অবশ্যই ভোগ করবেন।(আকাশ/আলিম/শিশির)