আকাশ ছুঁতে চাই ১৭ করোনাকালেও এগিয়ে যাচ্ছে নারী
2021-04-16 18:20:27

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।

বছর ঘুরে এসেছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। অন্যদিকে চলছে করোনা মহামারি। এই নিয়ে আমরা কথা বলবো আমাদের আজকের অতিথির সঙ্গে। আমাদের আজকের অতিথি লায়লা আফরোজ। তিনি একজন সফল সংগঠক, আবৃত্তি শিল্পী এবং সংস্কৃতি কর্মী।

নারী কখনও পিছিয়ে থাকেনি-লায়লা আফরোজ

আবৃত্তি শিল্পী লায়লা আফরোজ বললেন, ‘বাংলাদেশের নারী সব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে সবসময় এগিয়ে গেছে। তারা ঐতিহ্যকে ধারণ করেছে। তারা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে।’ লায়লা আফরোজ পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য প্রসঙ্গে বলেন, এটি বাঙালির প্রাণের উৎসব। আবহমানকাল থেকে বাংলার মানুষ পহেলা বৈশাখ ও চৈত্র সংক্রান্তি পালন করেছে। এখানে নারীর অংশগ্রহণ ছিল অগ্রণী ভূমিকায়। নারীরা বিভিন্ন কুটির শিল্প তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘কোন সংকটে নারী কখনও পিছিয়ে থাকেনি। তারা এগিয়ে গেছে।’

লায়লা আফরোজ নব্বই দশকের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন কিভাবে নতুন উৎসাহে ও নতুনভাবে শহরে পহেলা বৈশাখ পালন করা হতো সেসময়। তিনি করোনার সময়ে ভার্চুয়ালভাবে নববর্ষ পালনের প্রতি গুরুত্ব দেন।

নতুন যারা আবৃত্তিচর্চায় অোসছে তাদের পরামর্শ দিয়ে লায়লা আফরোজ বলেন,‘একটু এটা, একটু সেটা নয়। যে দিকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ সেটায় মনোযোগ দিতে হবে। সেটা নাচ হতে পারে, গান হতে পারে, আবৃত্তি হতে পারে।যেটা সবচেয়ে ভালো লাগে সেটার প্রতি নিষ্ঠা থাকতে হবে।’

তিনি সকলকে পহেলা বৈশাখের শুভকামনা জানান।

আকাশ ছুঁতে চাই ১৭ করোনাকালেও এগিয়ে যাচ্ছে নারী_fororder_ban

সুপ্রিয় শ্রোতা এখন শুনবেন বিশিষ্ট শিল্পী থান চিংয়ের কণ্ঠে একটি চীনা গান।

চীনের বিখ্যাত নারীর কথা

আধুনিক চীনা সাহিত্যের অন্যতম সেরা লেখক বিং সিন

আকাশ ছুঁতে চাই ১৭ করোনাকালেও এগিয়ে যাচ্ছে নারী_fororder_ban1

বিং সিন চীনা আধুনিক সাহিত্যের একজন প্রথিতযশা লেখক যিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও খ্যাতিমান। তার প্রকৃত নাম ছিল সিয়ে ওয়ানইং। তবে ছদ্মনাম বিং সিন বা সিয়ে বিং সিন নামেই তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পান। ১৯০০ সালে চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের ফুচৌ শহরে তার জন্ম। তবে তার শৈশব কাটে শাংহাই ও ইয়ানথাইতে। সমুদ্রতীরের এই শহরগুলোতে শৈশব ও কিশোরবেলা অতিবাহিত করার গভীর প্রভাব পড়ে পরবর্তিকালে তার লেখায়। সাত বছর বয়স থেকেই তিনি চীনের চিরায়ত সাহিত্য পাঠে আকৃষ্ট হন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও ভ্রমণগদ্য রচনায় বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় দেন। শিশুসাহিত্যেও তার অবদান অনেক। রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলী পড়ে তিনি মুগ্ধ হন। রবীন্দ্রনাথের লেখা চীনা ভাষায় অনুবাদকারীদের মধ্যেও তিনি অগ্রগণ্য। তার লেখা কবিতাতেও রবীন্দ্র-প্রভাব রয়েছে। তার বিখ্যাত বইগুলোর মধ্যে চিমো, সিয়ানছিং, চাওরেন, ফানসিং, ছুনশুই ইত্যাদি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বিং সিন দেশী বিদেশী অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে লু সুন সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন মর্যাদাশীল সম্মাননা। তিনি চায়না ফেডারেশন অব লিটারারি অ্যান্ড আর্ট সার্কেলের প্রধান ছিলেন। ১৯৯৯ সালে বেইজিংয়ে এই মহান সাহিত্যিকের মৃত্যু হয়।

করোনা মহামারির এই ক্রান্তিকালে সম্মুখযোদ্ধা নারী সাংবাদিকরা কিভাবে এগিয়ে চলেছেন সে বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন

সাংবাদিকদের কলম চলে, ক্যামেরা কথা বলে

আকাশ ছুঁতে চাই ১৭ করোনাকালেও এগিয়ে যাচ্ছে নারী_fororder_ban2

প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সঠিক তথ্যের সন্ধানে বেড়িয়ে যান সাংবাদিকরা। সমাজের নানা অনিয়ম অরাজকতার চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে অকালে জীবনও দিতে হয় বহুজনকে।  

তারপরও সাংবাদিকরা কাজ করেন, করে যাচ্ছেন করোনাসহ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে। যুদ্ধবিগ্রহ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও ঘরে বসে থাকা তাদের কাজ নয়। খবর সংগ্রহ করে দেশ ও জাতিকে জানিয়ে দেন তারা। মূলত সাংবাদিকরা ব্যক্তিমালিকাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও তাদের কাজ রাষ্ট্রের জন্য।  

আর এই যুদ্ধে একদমই পিছিয়ে নেই নারী সাংবাদিকরা। সাংবাদিকতা পেশাটি যেহেতু পারিবারিক, সামাজিক এবং মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জের।  তাই এ পেশায় ধৈর্য, মনোবল ও সাহস নিয়ে বহুমাত্রিক বাধা অতিক্রম করে টিকে থাকতে হয় নারীদের।  

মহামারি করোনায় আক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সে তালিকায় নারীরাও বাদ যায় নি ।  করোনার এ ক্রান্তিকালে নারী সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে সঠিক তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে থেমে নেই তাদের পথ চলা।

ব্যক্তিজীবন, পরিবার ও সমাজকে পেছনে ঠেলে দিয়ে অসংখ্য বাধার মুখোমুখি হয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে নারী সংবাদকর্মীরা। 

তবে এ পথ পাড়ি দেয়াটা কি এতোটাই সহজ? 

বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি বেসরকারি টেলিভিশন সাংবাদিক আঙ্গুর নাহার মন্টি বলছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। আঙ্গুর নাহার মন্টি বলেন, ‘নারীদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগোতে হয়। তাকে ভারো ‘বিট’ দিতে চায় না। করোনার মধ্যে নারী সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অনেক বেশি প্রতিকূলতার মধ্যে এগিয়ে যেতে হয়।’

আকাশ ছুঁতে চাই ১৭ করোনাকালেও এগিয়ে যাচ্ছে নারী_fororder_ban3

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, অন্যান্য পেশার ন্যায় কর্মক্ষেত্রে নারী সাংবাদিকরা অনেক বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।   

(প্রতিবেদক: রওজায়ে জাবিদা ঐশী)

 

প্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা। অনুষ্ঠানটি কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন, ঢাকায় এফ এম ১০২ এবং চট্টগ্রামে এফ এম ৯০ মেগাহার্টজে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবংআমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.

আজ এ পর্যন্তই। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়েন।

লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া

  অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ