বাংলাদেশে গেল এক বছরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ। গেল কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন সংক্রমিত হচ্ছে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর ২৪ ঘণ্টায় এখন মৃত্যু হচ্ছে পঞ্চাশের ঘরে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে বাংলাদেশে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে কয়েকটি কারণকে দায়ী করেছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের ধরণ বাংলাদেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোশতাক আহমেদ বলেন, যুক্তরাজ্যে সনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন বা ধরনটি কয়েকগুণ শক্তিশালী আর এর ছড়ানোর সক্ষমতাও বেশি।
বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরুর পর মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কমে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া মানেই শরীর পুরো সুরক্ষিত নয়। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার উপর জোর দেন তিনি।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় এরই মধ্যে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। নির্দেশনায় সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ সীমিত রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা নিয়ে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে কথা বলেছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর হোসেন।
জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ ভাগ জনশক্তি দিয়ে চালানোর ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে এ নিয়েও কথা বলেন তিনি।
গণপরিবহণগুলো এখন অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এতে রাজধানীজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র পরিবহন সঙ্কট। আর বাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানলেও বাসে ওঠার সময় একরকম হুড়োহুড়ি করছেন যাত্রীরা। এ অবস্থার মধ্য দিয়েও করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যবিদরা।
(ওভি)