কি খাবো, কি খাবো না: এতো পুষ্টিগুণ জানলে কে না খাবে কাঁঠাল?
2021-03-26 19:54:46

কি খাবো, কি খাবো না: এতো পুষ্টিগুণ জানলে কে না খাবে কাঁঠাল?_fororder_jiankang

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কম-বেশি কাঁঠাল পাওয়া যায়। এটি একটি মৌসুমী ফল। বসন্ত ও গ্রীষ্মের প্রথমে কাঁচা অবস্থায় এবং গ্রীষ্ম ও বর্ষায় পাকা অবস্থায় পাওয়া যায় কাঁঠাল। এর রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। কাঁঠালের ৪-৫টি কোষ বা রোয়া থেকে ১০০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। এ ফল ভিটামিন ‘এ’সমৃদ্ধ। দু-তিন কোয়া কাঁঠাল আমাদের এক দিনের ভিটামিন ‘এ’ এর চাহিদা পূরণ করে। শিশু, কিশোর ও পূর্ণ বয়সী নারী-পুরুষ -- সবার জন্য কাঁঠাল খুবই উপকারী ফল। গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য বিশেষ দরকারি কাঁঠাল ।

জানিয়ে দিচ্ছি কাঁঠালের নানা উপকারিতা:

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কাঁঠালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি-র মতো অ্যান্টি-অক্সিডেনট রয়েছে, যা সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো সাধারণ নানা রোগকে সহজেই প্রতিহত করে। এ ফলে থাকা আয়রন রক্তাল্পতা দূর করে এবং পেটের পীড়া, ম্যালেরিয়া, কৃমি, আলসার ও রক্ত আমাশয় প্রতিরোধ করে।

শক্তি বাড়ায়: কাঁঠাল কোষের ৯০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট। এতে শর্করা, ক্যালোরি, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ থাকে, যা শক্তি বাড়ায়। আর প্রচুর পরিমাণে থাকা আমিষ, শ্বেতসার অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধান করে।

স্ট্রোক হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়: কাঁঠালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে।

হজমশক্তি বাড়ায়: কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় তা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও ভূমিকা রাখে এ ফল।

মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিহত করে: কাঁঠালে থাকা ডায়েটারি ফাইবার মলাশয় থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করে। ফলে মলাশয়ের ওপর আর বিষাক্ত উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। এতে মলাশয়ের ক্যান্সার দূরে থাকে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ফল হিসাবে কাঁঠালের কোনও তুলনা নেই। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে, যা চোখের জন্য অপিরহার্য পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ রেটিনার ক্ষতি প্রতিরোধ করে রাতকানা ও অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে।

বয়সের ছাপ কমায়: কাঁঠালে থাকা বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে, ত্বক সুন্দর করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা বা বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে।

প্রসূতিদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: নিয়মিত কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, স্তন্যদায়ী মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং গর্ভস্থ সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়। কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ ও প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।

ক্যান্সার উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে: কাঁঠালে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আলসার, ক্যান্সার ও উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি কমায় এবং বয়োবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে।

দুশ্চিন্তা অবসাদ দূর করে: কাঁঠালে থাকা কপার থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক হরমোন তৈরির ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এবং এর মধ্য দিয়ে দুশ্চিন্তা ও অবসাদ দূর করে।