সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ আয় বৈষম্য দূর করা
2021-03-25 20:23:32

এক এক করে স্বাধীনতার ৫০টি বছর অতিক্রম করলো বাংলাদেশ। ৫ দশকের এক পরিক্রমায় এদেশ এখন সম্ভাবনা আর উদীয়মান অর্থনীতির এক ভূখন্ড। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সকল শ্রোতাকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি অর্থনীতি বিষয়ক সাপ্তাহিক আয়োজন ‘ব্যবসাপাতি’। গোটা অনুষ্ঠান জুড়ে আপনাদের সঙ্গে আছি আমি ‘আজহার লিমন’।

সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ আয় বৈষম্য দূর করা_fororder_TIM图片20210401171102

ব্যবসাপাতির ১৪তম পর্বে যা থাকছে:

  • সুবর্ণ জয়ন্তীতে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন
  • স্বাধীনতার ৫ দশকের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশেষ সাক্ষাতকার
  • চীনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও মহাকাশ প্রদর্শনী নিয়ে খবর।

চীনের সাংহাইতে শুরু হচ্ছে ডিজিটাল ওয়ালেট

মার্চ ২৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের সাংহাই প্রদেশে ডিজিটাল ইউয়ান ওয়ালেটের ব্যাবহার শুরু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সাংহাইয়ের প্রধান ব্যাংকগুলো এর প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছে। মঙ্গলবার সাংহাই সিকিউরিটিজ নিউজের এক সংবাদে বলা হয়, কাগজের নোটের বিকল্প হিসেবে সরকারিভাবে ডিজিটাল ওয়ালেট প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা চীনের রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকগুলোই ইস্যু করবে।

প্রাথমিকভাবে চীনের শিল্প ও বাণিজ্য ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, নির্মাণ ব্যাংক, যোগাযোগ ও ডাক সঞ্চয়পত্র ব্যাংকে ডিজিটাল ইউয়ানের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হচ্ছে। বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাপ সার্ভারের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই ওয়ালেট দিয়ে জেডি ডটকমের মত অনলাইন সাইটগুলো থেকে কেনাকাটা করা যাবে। দেওয়া যাবে সাংহাই সাবওয়ের ভাড়াও।

কর্তৃপক্ষ বলছে সহজ বিনিময় হওয়ায় এরই মধ্যে ডিজিটাল ওয়ালেটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ এই মুদ্রা পদ্ধতির অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণের আবেদন করতে হবে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

ই কমার্স আর সবুজ জ্বালানিতে ঘুরে দাড়াচ্ছে আফ্রিকা

মার্চ ২৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: করোনা মহামারিতে গোটা পৃথিবীর অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়লেও  নতুন দিগন্ত এনেছে অফ্রিকাতে।  জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশনে উত্থাপিত এক রিপোর্ট বলছে, এই সময়ে কাজের নতুন ধরণ তৈরী হয়েছে আফ্রিকায়।

ঐ রিপোর্ট বলছে করোনায় বেড়েছে অনলাইন কেনাকাটা। ফলে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর। কম মূল্যে মোবাইল ও প্রযুক্তি হাতে পাওয়ায় উদ্যোক্তাদেরও পোয়াবারো। হিসেব মতে, তিন কোটিরও বেশি মানুষের কাজের জায়গা তৈরী হয়েছে এই সময়ে।

সবমিলিয়ে বলা যায়, করোনা মহামারিতে ই-কমার্স আর সবুজ জ্বালানি বদলে দিচ্ছে আফ্রিকার চিত্র।

চীনের আন্তর্জাতিক ভোক্তা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ১ হাজারের বেশি ব্রান্ড

মার্চ ২৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: প্রথমবারের মতো চায়না ইন্টারন্যাশনাল কনজিউমার প্রোডাক্ট এক্সপো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশে। আয়োজকরা বুধবার জানান ৭  থেকে ১০ মে এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। এক হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এই এক্সপোতে অংশ নিবে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং হাইনান প্রাদেশিক সরকারের যৌথ আয়োজনে ৮০ হাজার বর্গমিটার স্থানে হবে এই মেলা। আশা করা হচ্ছে এটি হবে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বৃহত্তম বুটিক প্রদর্শনী।

৬০, হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে থাকবে ফ্যাশন, জুয়েলারি, খাদ্য সামগ্রী, সাপলিমেন্টারি ফুড, এবং বিভিন্ন সেবা ও পেশাদারী সংস্থার স্টল। ৬৩০টি বিদেশি প্রদর্শনী এবং ৬৯টি দেশের  ১১৬৫টি গ্লোবাল ব্র্যান্ড এখানে অংশ নিচ্ছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে  অস্ট্রিয়ার সোয়ারোভস্কি, জাপানের শিসেইডো, সুইজারল্যান্ডের সোওয়াচ, যুক্তরাষ্ট্রের ডেল, টেসলা এবং কোচ এরমধ্যেই তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

২০ হাজার বর্গমিটার স্থানে চীনের ৮০০ অংশগ্রহণকারী থাকবে এবং একহাজারের বেশি ব্র্যান্ড প্রদর্শিত হবে।

 

< বিশেষ প্রতিবেদন>

আয় বৈষম্য দূর করাই বড় চ্যালেঞ্জ পঞ্চাশের বাংলাদেশের

হাবিবুর রহমান অভি, ঢাকা।

মার্চ ২৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: স্বাধীনতার ৫ দশকে উন্নয়নশীল দেশের তকমা অর্জনের পথে বাংলাদেশ। জিডিপি, বাজেট, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানাখাতে আছে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। কিন্তু প্রান্তিক মানুষের জীবনমান কতটা বদলেছে? তাদের জন্যে সামনেই বা কতটা সম্ভাবনা? উত্তর খুঁজেছেন হাবিবুর রহমান অভি।

স্বাধীনতার ৫ দশকে বাংলাদেশের উন্নতির উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে আছে কৃষিখাত। দীর্ঘ এ সময়ে একরকম নিরব বিল্পব হয়েছে এ খাতে। ধান উৎপাদেনে একধাপ এগিয়ে বিশ্বের ৪র্থ থেকে তৃতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ আয় বৈষম্য দূর করা_fororder_03251

ঢাকার শহরতলির বেরাইদ এলাকার কৃষক আফজাল মিয়া। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই সময়ে জানতে চেয়েছিলাম তার অভিজ্ঞতার কথা। কিশোর বয়সে বাবার সাথে মাঠে গিয়ে একটু একটু করে কাজ শিখেছেন আফজাল।

সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ আয় বৈষম্য দূর করা_fororder_03252

এখন বয়স ৬০ এর ঘরে। তিনি বলেন, আগে যেখানে প্রতি হেক্টর জমি থেকে দুই টন চাল পাওয়া যেত, প্রযুক্তির মিশেলে এখন তা ৫ টনের কাছাকাছি। কৃষিক্ষেত্রে সরকারের অবদান থাকলেও, তার মতে, বাজারে নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের।

সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ আয় বৈষম্য দূর করা_fororder_03253

শুধু ধান নয়, গম, ভূট্টা, সবজি উতপাদনেও ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে এসব কৃষক। আর এভাবেই খাদ্যশস্য উতপাদনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের আরেক প্রধান হাতিয়ার তৈরি পোশাক শিল্প। বিশ্বে পোশাক রপ্তানীতে চীনের পরের আসনটিই বাংলাদেশের। বছরে রপ্তানি প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

সস্তা শ্রম, স্বপ্নবাজ উদোক্তাদের এমন নানা পরিশ্রমের গল্পে একটু একটু করে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। হিসেব বলছে, স্বাধীনতার ৫ দশকে মানুষের আয় বেড়েছে ১৬ গুণ। বাজেটের আকার ছাড়িয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বলছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন কিংবা দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু এসব অর্জন কতোটা স্বস্তি দিয়েছে দেশের প্রাণশক্তি যুব ও প্রান্তিক মানুষদের? সাধারণ মানুষেরা বলছেন, চারিদিকে উন্নয়নে খরব শুনলেই জীবনমানে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি তাদের। দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য সরকারকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান তারা।

স্বাধীনতার পর দীর্ঘ এ পথযাত্রায় বাংলাদেশ অর্জন করার পথে নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি। পদ্মাসেতু, উড়াল মেট্রোরেলের মত প্রকল্পের ফলে জিডিপির আকার যেমন বেড়েছে, তেমনি মর্যাদা বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের মতে, অর্থনীতির কিছু সূচকে স্পষ্ট অগ্রগতি হলেও, ঘাটতি আছে সুশাসনে। সামাজিক ন্যায় বিচার ও মৌলিক অধিকারের নানান অপ্রাপ্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে বৈষম্যের বিভাজন।

তিনি  বলেন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে না পারলে এতসব অর্জনে বড় পরিবর্তন আনবে না।

সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ আয় বৈষম্য দূর করা_fororder_03254

গেল ১ দশকে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ধনী মানুষের সংখ্যা। আবার দারিদ্র‍্য ও আয়বৈষম্য দিনদিন প্রকট হচ্ছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহান মনে করেন, এর কারণ অন্তর্নিহিত আছে অর্থনীতির নীতি ও পরিকল্পনার মধ্যেই।

সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ আয় বৈষম্য দূর করা_fororder_03255

এই দুই বিশ্লেষক মনে করেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য দরকার পরিকল্পিত মানবসম্পদ উন্নয়নের পরিকল্পনা। একইসঙ্গে আর্থিক দুর্নীতি সুষম উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা বলেও মনে করেন তারা।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার নানা বিষয় নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. মো. আইনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক সাজিদ

বেইজিংয়ে চলছে মহাকাশ প্রদর্শনী

মার্চ ২৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের মহাকাশযান তিয়েনইয়েন ১ যখন মঙ্গলের বুকে অবতরণের অপেক্ষায়, তখন রাজধানী বেইজিংয়ে শুরু হলো ব্যতিক্রম এক মহাকাশ প্রদর্শনী।

সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ আয় বৈষম্য দূর করা_fororder_03256

এই প্রদর্শনীর আয়োজক চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। অবশ্য এর পেছনে রয়েছেন চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমিতি ও মহাকাশ প্রকৌশল অফিস। আয়োজকরা বলছেন, ৬টি পর্বে মহাকাশ বিজ্ঞানে চীনের গেল কয়েক দশকের সাফল্য অগ্রগতির নানা দিক তুলে ধরতে চান তারা।

বিশেষ এই প্রদর্শনীকে বিনিময় ও শিক্ষণমূলকও বলতে চাইছেন আয়োজকরা। তাদের দাবি, এখানে দর্শনার্থীরা মহাকাশ জীবনের নানা বিষয় শুধু দেখতেই না, উপলদ্ধিও করতে পারবেন। মহাশূন্যে একজন মহাকাশচারীর জীবন কেমন তার বাস্তব অনুভূতি দিতে রয়েছে বিশেষ পরিবেশ। নভোচারীদের পোশাক পড়ারও সুযোগ।

এক্সিবিশন ও ডিজাইন সেন্টার চায়না সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামের উপপরিচালক হু বিন বলেন, "এখানে আপনি মহাকাশবিজ্ঞানের গবেষণা ও উন্নয়নের এমন অনেক কিছুই পাবেন যা চীনের মহাকাশবিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছন। এ সমস্ত যন্ত্রপাতি চীনের স্পেস কর্মসূচির ঐতিহ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণে যে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে, আমরা মূলত এটাই বোঝাতে চাচ্ছি।"

চলতি মাসের ১৮ তারিখ শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে জুন মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত। গোটা প্রদর্শনীর সবকিছুই বিনামূল্যে দেখার সুযোগ পাবেন সব বয়সের মানুষ।

 এই প্রদর্শনীর আয়োজক চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। অবশ্য এর পেছনে রয়েছেন চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমিতি ও মহাকাশ প্রকৌশল অফিস। আয়োজকরা বলছেন, ৬টি পর্বে মহাকাশ বিজ্ঞানে চীনের গেল কয়েক দশকের সাফল্য অগ্রগতির নানা দিক তুলে ধরতে চান তারা।

বিশেষ এই প্রদর্শনীকে বিনিময় ও শিক্ষণমূলকও বলতে চাইছেন আয়োজকরা। তাদের দাবি, এখানে দর্শনার্থীরা মহাকাশ জীবনের নানা বিষয় শুধু দেখতেই না, উপলদ্ধিও করতে পারবেন। মহাশূন্যে একজন মহাকাশচারীর জীবন কেমন তার বাস্তব অনুভূতি দিতে রয়েছে বিশেষ পরিবেশ। নভোচারীদের পোশাক পড়ারও সুযোগ।

এক্সিবিশন ও ডিজাইন সেন্টার চায়না সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামের উপপরিচালক হু বিন বলেন, "এখানে আপনি মহাকাশবিজ্ঞানের গবেষণা ও উন্নয়নের এমন অনেক কিছুই পাবেন যা চীনের মহাকাশবিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছন। এ সমস্ত যন্ত্রপাতি চীনের স্পেস কর্মসূচির ঐতিহ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণে যে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে, আমরা মূলত এটাই বোঝাতে চাচ্ছি।"