বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদেরকে কন্ঠশিল্পী বাই জিং থিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর বেইজিং শহরের হুয়াইরৌ এলাকায় জন্মগ্রণ করেন। তিনি ক্যাডিটাল নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত একাডেমি থেকে স্নাতক হন। ২০১৪ সালে তিনি একটি ইন্টারনেট সিরিজে অভিনয় করার মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি টিভি সিরিজে অভিনয় করেন। একই বছরের অক্টোবরে তিনি বিশ্ববিখ্যাত্ টিভি শো ‘সার্ভাইভার গেমস’-এ অংশ নেন। প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘গ্লোরি পিং পং’ শীর্ষক গান। গানটি একটি টিভি সিরিজের থিম সং। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন বাই জিং থিংয়ের কন্ঠে ‘গ্লোরি পিং পং’ শীর্ষক গান। ২০১৬ সাল থেকে তিনি প্রচুর টিভি শোতে অংশ নেন এবং টিভি সিরিজে অভিনয় করেন। তিনি একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার। যদিও তাঁর পরিবারের অবস্থা এত ভাল ছিল না, তবুও বাবা-মা তাঁর জন্য সংগীত ও পিয়ানো শেখার ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়াও বাই জিং থিংয়ের ক্রীড়ায় দক্ষতা ছিল। হাইস্কুলের পর তিনি একটি শিল্প বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘ছিং মাং’ শীর্ষক গান। গানটি একটি টিভি সিরিজের থিম সং। গানটি ২০১৬ সালে রিলিজ হয়। বাই জিং থিং অন্য তিনজন কন্ঠশিল্পীর সঙ্গে গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন বাই জিং থিংয়ের কন্ঠে ‘ছিং মাং’ শীর্ষক গান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় বাই জিং থিংয়ের পপ সংগীতে আগ্রহ বাড়ে। এরপর তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্থানীয় সংগীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘এক ফুল’ শীর্ষক গান। গানটি হলো তাঁর অভিনীত প্রথম ইন্টারনেট সিরিজের থিম সং। গানটিতে বলা হয়েছে: এক, দুই, তিন, চার লাল গোলাপ প্রস্ফুটিত। কিন্তু কেউ ফুলগুলো কেটে ফুলদানি সাজাতে চায়। এক, দুই, তিন, চার দিন পর ফুলগুলো নষ্ট হবে। সে মানুষও ফুলগুলো ফেলে দেবে। কেউ ফুলগুলোর কথা মনে পড়বে না।
চলুন, আমরা গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন বাই জিং থিংয়ের কন্ঠে ‘এক ফুল’ শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘লেটস ফাইট’ শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি টিভি শো’র থিম সং। বাই জিং থিং অন্য দু’জন অংশগ্রহণকারী শিল্পীর সঙ্গে গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন। চলুন, আমরা গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন বাই জিং থিংয়ের কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি আপনাদেরকে কন্ঠশিল্পী লিয়াং ছাও ওয়েই’র গান শোনাবো। তিনি ১৯৬২ সালের ২৭ জুন চীনের হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন অভিনেত্রী, কন্ঠশিল্পী ও জাতীয় প্রথম পর্যায়ের অভিনেতা। ১৯৮২ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিনোদনজগতে প্রবেশ করেন। গত শতাব্দীর আশির দশকে তিনি অনেক টিভি সিরিজে অভিনয় করেন। এর মাধ্যমে তিনি চীনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ১৪তম হংকং ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডজের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। ২০০০ সালে তিনি ৫৩তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে অনেক সাফল্য লাভ করার পাশাপাশি সংগীতেও সাফল্য অর্জন করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘প্রতিদিন একটু ভালবাসা’ শীর্ষক গান শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন লিয়াং ছাই ওয়েই’র কন্ঠে ‘প্রতিদিন একটু ভালবাসা’ শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে ‘সাদা মেঘের গভীরে’ শীর্ষক গান শোনাবো। গেয়েছেন লিয়াও বাই ওয়েই। তিনি একজন সংগীত-প্রযোজক। তিনি কুয়াংচৌ শহরের চতুর্দশ গণকংগ্রেসের প্রতিনিধি, কুয়াংতুং প্রদেশের বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ, কুয়াংচৌ শিল্পী সমিতির চেয়ারম্যান, চীনা সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি যোগাযোগ সমিতির স্থায়ী সদস্য, চীনা জাতীয় সংস্কৃতি ত্বরান্বিত সমিতির সদস্য, চীনা সংগীতজ্ঞ সমিতির সদস্য, কুয়াংতুং প্রদেশের অর্থনৈতিক প্রযুক্তি সহযোগী ও ত্বরান্বিত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান। ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘সাদা মেঘের গভীরে’ শীর্ষক গান শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
প্রিয় শ্রোতা, এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম/রুবী)