২০২০ সালের মধ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ করে চীন। সেই লক্ষ্য অনুযায়ী দারিদ্র্য দূর করার রেকর্ডও গড়া হয়। ৫৫ মিলিয়ন গ্রামীণ মানুষকে দারিদ্র্য সীমার উপরে নিয়ে আসা হয়। হেনান প্রদেশের প্রত্যেকের বার্ষিক আয় এখন ২৩শ’ ইউয়ান। কীভাবে সম্ভব হলো চ্যালেঞ্জিং এ কাজ? সাজিদ রাজু’র প্রতিবেদন।
চীনের তৃতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল প্রদেশ হেনান। ২০১৪ সালে এই প্রদেশের কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষ ছিলো দরিদ্র।
২০১৮ সালে মে মাসে ঘোষণা করা হয়, দুই অধিবেশনের আগেই দারিদ্র্য দূর করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার ঘোষণা দেয় প্রদেশ কর্তৃপক্ষ।
দারিদ্র্য দূর করতে তৃণমূল পর্যায়ে ও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোকে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটায় হেনান প্রদেশ কর্তৃপক্ষ। ব্যবসার মাধ্যমে মানুষের আয় বাড়াতে সাহায্য করা হয়।
কিন্তু ব্যবসা করতে যে অর্থ প্রয়োজন তার যোগান কে দেবে? বিশেষ করে ব্যবসা টেকসই করতে যে মূলধন প্রয়োজন তাই হয়ে দাড়ায় বড় বাধা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সচরাচর ঋণ দিকে রাজি হয়না।
এর সমাধান বের করে প্রাদেশিক সরকার। সেখানে স্থানীয় সরকার গড়ে তোলে ১০ মিলিয়ন ইউয়ানের এক বিরাট তহবিল। সেখান থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পায় স্থানীয় মানুষজন। এজন্য কোন রকম সুদ দিতে হয়নি স্থানীয়দের। ফলে খুব সহজেই ব্যবসা দাঁড় করাতে সক্ষম হয় এখানকার দরিদ্র মানুষ।
সে বছর ১০ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য সীমা থেকে বের করে আনা হয়। শুধু তাই নয় ২০১৯ সালের মধ্যেই দারিদ্র্য সমস্যা সমাধানের জোর প্রচেষ্টা চালায় সরকার। প্রদেশের ল্যাংকাও কাউন্টি ঘুরে দেখে সিজিটিএন মন্তব্য করে, দারিদ্র্য বিমোচনে দরিদ্র্যদের জন্য সরকারি পদক্ষেপে এমন উদ্যোগ সত্যিই অনুসরণীয়।