ইয়ান ওয়েইওয়েন ১৯৫৭ সালের ২৬ আগস্ট চীনের শানসি প্রদেশের চিনচৌং শহরের পিংইয়াও জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীন কনজারভেটরি অফ মিউজিক থেকে স্নাতক হন। পাশাপাশি, তিনি জাতীয় ক্লাস-এ শিল্পী, চীনের সুরকার সমিতির সদস্য, এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের রাজনৈতিক কার্য বিভাগের (সিএমসি) একজন প্রশিক্ষক। ১৯৭০ সালে তিনি শানসি প্রাদেশিক নৃত্য দলে প্রবেশ করে একজন নৃত্যশিল্পী হন। একই সময় দলে প্রবেশকারী অন্য ছেলে-মেয়েদের নৃত্যের বেসিক দক্ষতার ভিত্তি ছিল। কিন্তু ইয়ান ওয়েইওয়েনের শরীর খুবই শক্ত ছিল। সুতরাং তিনি কঠোর শারীরিক ও মানসিক চর্চা শুরু করেন। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের “তোমার জন্য গান” অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদের শোনাতে চাই, ইয়াং ওয়েইওয়েনের একটি গান, গানের নাম “দূরে আছে ছেলে”। শুনুন তাহলে গানটি।
১৯৭২ সালে শানসি প্রদেশের সামরিক অঞ্চলের অপেশাদার সৈন্য সম্প্রচার দল শানসি প্রাদেশিক নৃত্যদলে এসে শিল্প বিনিময় করে। সম্প্রচার দলের এক কর্মী ইয়ান ওয়েইওয়েনকে বলেন, দল শিক্ষার্থী তালিকাভুক্তি করছে। খবর পেয়ে ইয়ান ওয়েইওয়েন পরীক্ষায় অংশ নেন। খুব আকস্মিক সুযোগে তিনি শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোকাল সংগীত অধ্যাপক জাংয়ের সাথে পরিচিত হন। তারপর তিনি অধ্যাপকের কাছ থেকে পদ্ধতিগত ভোকাল সংগীত শিল্প শিখতে শুরু করেন। অধ্যাপকের পরিচর্যায় ইয়ান ওয়েইওয়েন গান গাওয়ার পথে অনেক অগ্রগতি লাভ করেন। এবং আস্তে আস্তে সম্প্রচার দলের মূল শিল্পীতে পরিণত হন। ১৯৭৯ সালে ভাগ্যবান ইয়ান ওয়েইওয়েন সিএমসিতে প্রবেশ করেন। বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদের ইয়ান ওয়েইওয়েনের অন্য একটি গান শোনাচ্ছি, গানের নাম “দীর্ঘজীবী হোক, মাতৃভূমি”। শুনুন তাহলে গানটি।
১৯৮৪ সালে ইয়ান ওয়েইওয়েন প্রথম তরুণ টিভি গায়কদের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ১৯৯০ সালে তিনি চীনের জাতীয় চলচ্চিত্র ও টিভি নাটক টপ-১০ গায়ক পুরষ্কার জিতেন। এরপর তিনি বার বার চীনের সিসিটিভি বসন্ত উত্সব গালায় গান পরিবেশন করেন। বেশি কথা না বলে, এখনই আমি তাঁর “মাতা” নামের গানটি আপনাদের শোনাই, কেমন?
গানটি কেমন লেগেছে আপনাদের? নিশ্চয়ই ভাল লেগেছে, তাইনা? বন্ধুরা, খুব মজার ব্যাপার, “মাতা” নামের গান ছাড়া ইয়ান ওয়েইওয়েনের “মাতৃ নদী” নামেও একটি গান রয়েছে। তাহলে আসুন আমরা এক সাথে শুনি, তাঁর কণ্ঠে ‘মাতৃ নদী’ কী রকম হয়, কেমন?
প্রিয় বন্ধুরা, “ফ্লোবার্গে তুষার পদ্ম ফুল” গানটি ফ্লোবার্গে অতিথি চলচ্চিত্র থেকে নেওয়া। এটা চীনের লোক সঙ্গীত। আসলে অনেক শিল্পী গানটি গেয়েছেন। ইয়ান ওয়েইওয়েন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাহলে আমরা এখন শুনব ইয়ান ওয়েইওয়েনের গাওয়া “ফ্লোবার্গে তুষার পদ্ম ফুল” গানটি।
“সৈন্য” ১৯৯৪ সালের একটি গান। শুরুতে চীনের অন্য একজন শিল্পী লিউ বিন গানটি গান। ২০০৯ সালের মে মাসে “সৈন্য” চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্প্রচার বিভাগের ১০০দেশাত্মবোধক গানের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়। ইয়ান ওয়েইওয়েনও গানটি গেয়েছেন। আসুন, আমরা এক সাথে গানটি শুনি।
বন্ধুরা, গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। তাহলে ইয়ান ওয়েইওয়েনের আরেকটি গান দিয়ে আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানটি শেষ করছি। গানের নাম “বোনের সকাল”। আশা করি, আজকের গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।
(প্রেমা/এনাম)