কি খাবো, কি খাবো না:সীমা নেই খেজুরের গুণের
2021-03-19 17:07:18

খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি ফল। এটি ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। খেজুর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। এ ফলকে চিনির বিকল্প মনে করা হয়। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। খেজুরেরয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আয়রন, প্রোটিন, ফলেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিনবি৬, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও সালফারসহ নানাউপাদান। খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো, তেমনি চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও খেজুর অনেক উপকারি। জানিয়ে দিচ্ছি খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে:

শক্তি বর্ধনে: খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যউপাদান, যা শারীরিক ও মানসিক শক্তি বাড়ায়। এছাড়া এ ফল হজমশক্তি, যৌনশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। খেজুর ফুলের পরাগরেণু বন্ধ্যাত্ব দূর করে, শুক্রাণু বৃদ্ধি করে। খেজুর ও খেজুরের ফুল পরাগরেণু ডিএনএ’র গুণগতমান বৃদ্ধি করে।

হজম ও রুচি বৃদ্ধিতে: রুচি বাড়াতে খেজুরের কোনো জুড়ি নেই। শিশুদের মধ্যে যারা ঠিকমতো খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসে। খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে: বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে খেজুর। ফুসফুস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে এ ফল।

হার্টের সমস্যায়: হার্ট বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর খেজুর। গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় ভীষণ কাজ করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম এবং অল্প পরিমাণ সোডিয়াম। তাই প্রতিদিন এ ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমে এবং ভালো কলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকায় স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।

রক্তশূন্যতায়: খেজুর আয়রন বা লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে রক্তশূন্যতায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন খেজুর খেলে দেহের আয়রনের অভাব পূরণ হয় এবং রক্তস্বল্পতা রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

কি খাবো, কি খাবো না:সীমা নেই খেজুরের গুণের_fororder_生物3

কোষ্ঠকাঠিন্যে: নিয়মিত খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মেলে। তুলনামূলক শক্ত খেজুরকে সারা রাতপানিতে ভিজিয়ে সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে: খেজুর দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই শরীরের গঠনের তুলনায় যাদেরওজনবেশি, তারা নিয়মিত খেজুর খান।

অন্যান্য উপকারিতা:  এছাড়াও জ্বর, মূত্রথলির সংক্রমণ, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা ও শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে খেজুর বেশ উপকারী। নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়েও খেজুর বেশ কার্যকর। নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। এছাড়া খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রাতকানা নিরাময় করে।