ধূলা-বালি, ময়লা এবং রোগ-জীবাণু থেকে আমাদের পায়ের সুরক্ষা দেয় জুতা। তবে সঠিক জুতা নির্বাচন না করলে পায়ের হাড়ে চাপ লেগে ব্যথাসহ নানা প্রদাহ সৃষ্টি হয়, বাধাগ্রস্ত হয় রক্ত সঞ্চালন। ফলে সুরক্ষার চেয়ে জুতাই ডেকে আনে নানা রোগব্যাধী। তাহলে কিভাবে চিনবেন ভালো জুতা? শুনুন রওজায়ে জাবিদা ঐশীর প্রতিবেদন।
জুতা যদি ভালো হয়, তবে দাম কোনো বিষয় নয়। কিংবা বিখ্যাত কোনো ব্র্যান্ডের জুতা মানেই ভালো জুতা। এমন প্রচলিত ধারণা আছে অনেকের মধ্যেই। অথচ ভালো জুতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের চেয়ে আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়াটাই বেশি জরুরি।
পা ঘেমে যাওয়া কিংবা দুর্গন্ধের জন্য জুতা একমাত্র কারণ না হলেও অন্যতম প্রধান কারণ। তাই এমন জুতা নির্বাচন করা দরকার যেন পায়ে যথেষ্ট বাতাস পৌঁছানোর সুযোগ থাকে। জুতার তলা, পায়ের সংস্পর্শে থাকা পাশটি যেনো প্রাকৃতিক চামড়ার হয় সেদিকটাও লক্ষ রাখা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জুতার সোল হতে হবে হালকা, তবে মজবুত। খুব শক্ত সোলের জুতা পরা ঠিক নয়। বরং সহজে বাঁকানো যায়, এমন সোল বাছাই করা উচিত। ১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হিলের জুতা বেশ স্বাস্থ্যসম্মত। খুব উঁচু বা নিচু জুতা না পরাই ভালো। স্যান্ডেলের ক্ষেত্রে পেছনের বা সামনের অংশে চামড়া বা কাপড়ের ফিতা থাকলে ভালো।
আঁটসাঁট ও শক্ত জুতা পরলে পায়ে ব্যথাসহ নানা প্রদাহ হতে পারে। সামনের দিকে সরু এমন জুতা পরলে আঙুলের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। তাই এধরণের জুতা পরিহার করা উচিত।