চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে; কনটেইনার পরিবহনে যুক্ত হয়েছে নতুন চালিকাশক্তি
2021-03-12 14:12:00

চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে; কনটেইনার পরিবহনে যুক্ত হয়েছে নতুন চালিকাশক্তি_fororder___172.100.100.3_temp_9500031_1_9500031_1_1_ee089c88-0f23-4113-bbc0-6a679c8c37a8

মার্চ ১২: চীনের শুল্ক সাধারণ প্রশাসনের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে চীনের মোট আমদানি-রফতানির মূল্য ছিল ৫.৪৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২.২ শতাংশ বেশি। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই চীনের আমদানি ও রফতানির প্রবণতা ছিল ভালোর দিকে।

চীন থেকে বিপুলসংখ্যক মহামারী-প্রতিরোধক সামগ্রী ক্রয়ের জন্য জার্মান চেম্বার অফ ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রেনারসকে গত বছর বেশ কয়েকটি জার্মান রাজ্য সরকার কমিশন দিয়েছিল। চেম্বার অফ কমার্সের চীন প্রকল্প বিভাগের প্রধান নির্বাহী মাও চিয়ান থিং বলেন, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত তাঁর হাত দিয়ে জার্মানিতে রফতানি হওয়া এন্টি-মহামারী সামগ্রীর মূল্য ছিল দশ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি। সাধারণত, তাদের পণ্য পরিবহনের জন্য তিনটি চ্যানেল রয়েছে: বিমানপথ, রেলপথ ও নৌপথ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন

 

“অর্ডারে যখন দ্রুত পণ্য পরিবহনের কথা উল্লেখ থাকে, তখন সাধারণত বিমানপথ ব্যবহার করা হয়। সময় বড় ফ্যাক্টর না হলে রেলপথ ও নৌপথ ব্যবহার করা হয়।”

 

চীনের বৃহত্তম দেশীয় বাণিজ্যিক কন্টেইনার হাব বন্দর হচ্ছে কুয়াং চৌ বন্দর। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধের পর থেকে পরিবহন খাতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কন্টেইনারের চাহিদাও বেড়ে যায়। তখন পরিবহন খাতে ‘একটি কন্টেইনারও খুঁজে পাওয়া মুশকিল’  অবস্থার সৃষ্টি হয়।

কন্টেইনারের সংকট দেখা দেওয়া মানে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের রফতানি অংশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়া। এতে অনেক সময় পণ্য-পরিবহন স্থগিত রাখতে হয় এবং এতে পরিবহনের ব্যয়ও বেড়ে যায়। এই সমস্যার প্রেক্ষাপটে কুয়াং চৌ বন্দর গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে বহু ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর মধ্যে রয়েছে  শিপিং সংস্থাগুলিকে বন্দর অঞ্চলের অধীনস্থ খালি কন্টেইনার ব্যবহার করতে দেওয়া, নতুন করে ৪টি বৈদেশিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট রুট চালু করা, ২ লাখ ২০ হাজারটি খালি কন্টেইনার রিজার্ভ করা, ইত্যাদি। এর পরও কুয়াং তুং বন্দর গোষ্ঠীর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুং সিয়াও মিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি কন্টেইনারও খুঁজে পাওয়া মুশকিল’ পরিস্থিতি আরও কিছু সময়ের জন্য বজায় থাকবে। রপ্তানি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন,

 

“অনেক গ্রাহক আমাদের জিজ্ঞাসা করছিলেন: ‘একটি কন্টেইনারও খুঁজে পাওয়া মুশকিল’ পরিস্থিতির কখন অবসান ঘটবে।’ আমার উত্তর হচ্ছে, এ বছর এ থেকে মুক্তি মিলবে না। কী কারণে?  যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারী ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে পুনরায় উত্পাদনে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে ও হবে। মোদ্দাকথা, আমাদের কন্টেইনারের পূর্ণাঙ্গ চলাচল একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বাভাবিক হবে না। ‘একটি কন্টেইনারও খুঁজে পাওয়া মুশকিল’ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগে সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।”

ভবিষ্যতে, বৈশ্বিক শিল্প চেইনের পুনর্গঠনের গতি দ্রুততর হবে। জার্মান চেম্বার অফ ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রিনিয়র্সের চীন প্রকল্প বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রধান মাও চিয়ান থিং বলেন, ‘মেড ইন চায়না’-এর অপরিহার্য মূল্য রয়েছে। এই বছর চীনের এন্টি-মহামারী সামগ্রীর রফতানির সম্ভাবনা আরও অনেক ভাল হবে বলে তিনি ধারণা করেন। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ওয়েইমিং)