আজ আমরা কথা বলেছি বন্ধাত্ব নিয়ে। মানুষ যত আধুনিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হচ্ছে বন্ধাত্বের সমস্যা তত বাড়ছে। দেশি-বিদেশি জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে কমপক্ষে ৪ শতাংশ মানুষ বন্ধাত্বের সমস্যায় ভুগছেন। অস্বস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার পদ্ধতি, ইত্যাদি বাড়িয়ে দিচ্ছে এ সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞা ডা. ফ্লোরিডা রহমান। ডা. ফ্লোরিডাঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একজন একজন সহকারী অধ্যাপক।
দেহঘড়ি পর্ব-৮
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে রয়েছে স্বাস্থ্যখাতের একটি সুখবর, সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংকলন ‘স্বাস্থ্য বুলেটিন’, স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা ভুল ধারণা নিয়ে আয়োজন ‘ভুলের ভুবনে বাস’, প্রাকৃতিকভাবে রোগপ্রতিরোধ ও রোগমুক্তি নিয়ে কথন ‘ভাল থাকার আছে উপায়’, সাক্ষাত্কারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আয়োজন ‘কী খাবো কী খাবো না’।
##সুখবর: বেসরকারি হাসপাতালের সেবামূ্ল্য নির্ধারণ করে দেবে বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এমনিতেই অসন্তোষ রয়েছে সাধারণ জনগণের। তার উপর বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মাত্রাতিরিক্ত ফি এই ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। নিম্ন আয়ের মানুষেরা এসব হাসপাতাল থেকে সেবা নেওয়ার সাহসই করতে পারেন না। কারণ জটিল রোগীদের চিকিত্সা করাতে গিয়ে জমি-জামা বিক্রি করে একরকম সর্বশান্ত হন অনেকে। এছাড়াও, অর্থের অভাবে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে চিকিত্সা না পেয়ে মৃত্যুর খরবও প্রায় আসে গণমাধ্যমে।
এরকম অনিশ্চয়তার মধ্যেই, সাধারণ জনগণের জন্য একটি সুখবর এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গেল কয়েকদিন আগে সচিবালয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মান বিবেচনায় সেবামূলা নির্ধারণ করে দেবে সরকার।
তিনি বলেন, দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে অসংখ্য বেসরকারি ক্লিনিক, যার অধিকাংশই নিশ্চিত করতে পারছে না মানসম্মত সেবা। এসব ক্লিনিকের একেকটির খরচ একেক রকম হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। এসব ক্লিনিকের নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হবে এবং সে অনুযায়ী চলতে না পারলে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালককে কয়েক দফা ফোন করার পরও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে, সেবামূল্য নির্ধারণ করতে দেশের বেসরকারি চিকিৎসা খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকের কথা রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
##হেল্থ বুলেটিন:
১। যুক্তরাজ্যের করোনার নতুন ধরন বাংলাদেশে
যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে। গেল বুধবার তা নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। যদিও জানুয়ারি মাসেই বাংলাদেশে এই ধরন পাওয়া যায়, কিন্তু বিষয়টি এতদিন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এ পর্যন্ত মোট ছয় ব্যক্তির দেহে করোনার নতুন ধরন পাওয়া গেছে। তবে নতুন ধরনের এই ভাইরাসের কারণেই করোনা সংক্রমণ আবারো বাড়ছে কী না, এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
২। টিকা নিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গেল বুধবার বঙ্গভবনে টিকা নেন তিনি। একই সঙ্গে টিকা নিয়েছেন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানমও।
রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টিকা গ্রহণের সময় রাষ্ট্রপতির পাশে উপস্থিত ছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিত্সক ও অন্যান্য সচিব। এর এক সপ্তাহ আগে টিকা নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩। বাংলাদেশে টিকা নিলেন ৪১ লাখের বেশি মানুষ
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের গণটিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গেল ২৯ দিনে টিকা নিয়েছেন প্রায় ৪১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুধু রাজধানী ঢাকাতেই এ পর্যন্ত টিকা গ্রহণ করেছেন ৬ লাখ ৫১ হাজার মানুষ।
ভারত থেকে আনা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েই সারাদেশে ১ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলছে গণটিকা কার্যক্রম।
এদিকে টিকা নিতে এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৫৩ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। আর টিকা নেওয়ার পর বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৮৭২ জনের জনের দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৪। টিকা নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হলেন ডিএমপি কমিশনার
করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পরও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।
পুলিশের পক্ষ থেকে গেল বুধবার জানানো হয়, ডিএমপি কমিশনার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ মার্চ। এর আগে দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রমের প্রথম দিন ৭ ফেব্রুয়ারি ডিএমপি কমিশনার টিকা গ্রহণ করেন । টিকা নেওয়ার ২৯ দিনের মাথায় করোনায় আক্রান্ত হন তিনি।
##ভুলের ভুবনে বাস: রক্তচাপ সম্পর্কে যত ভুল ধারণা
বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ। আর এই সমস্যায় বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। অন্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। বাংলাদেশ জনমিতি স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮-এর হিসেব মতে, দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি চার জনের একজন উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগেন। উচ্চ রক্তচাপকে স্ট্রোক, কিডনি রোগ, অন্ধত্ব ইত্যাদির প্রধান ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে অনেকে উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে নানা ভুল ধারণাও পোষণ করেন। আসুন জেনে নিই উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে সাধারণ ভুল ধারণাগুলো।
উচ্চ রক্তচাপ কেবল বয়স্কদের সমস্যা!
অনেকের ধারণা, বয়স বেশি না হলে রক্তচাপ নিয়ে কোনও চিন্তার দরকার নেই। কারণ উচ্চ রক্তচাপ কেবল বড়দের হয়। এই ধারণাটি ভুল। এ রোগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়স্করা আক্রান্ত হয় বটে, তবে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী মানুষ, এমনকি তরুণ-যুবাদেরও হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। তাই সব বয়সের মানুষের মাঝেমধ্যে রক্তচাপ মাপা উচিত।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ বাড়তেই পারে!
অনেকে ভাবেন বয়স বাড়লে রক্তচাপ একটু বাড়তেই পারে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এটা ভুল ধারণা। যেকোনো বয়সেই রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রার ওপর যাক না কেন, তার চিকিৎসা নিতে হবে।
লক্ষণ নেই তো সমস্যা নেই!
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে রুটিন চেকআপে তা ধরা পড়ে। সেকারণে যারা মনে করেন, মাথা-ঘাড় ব্যথা নেই, মাথা ঘোরে না, ঘুমের সমস্যা হয় না, মানে উচ্চ রক্তচাপ নেই, তারা ভুলের মধ্যে আছেন। আদতে উচ্চ রক্তচাপ আছে কীনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিয়মিত রক্তচাপ মাপান।
কেবল রক্তচাপ বাড়লেই ওষুধ খাই!
অনেকে মনে করেন, যখন রক্তচাপ বাড়ে শুধু তখন ওষুধ খেলেই হয়। স্বাভাবিক হয়ে এলে আর খাওয়ার দরকার পড়ে না। এটা বিপজ্জনক ধারণা। রক্তচাপের ওষুধ সাধারণত নিয়মিত খেতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ বন্ধ করা বা মাঝেমধ্যে বাদ দেওয়া উচিত্ না। রক্তচাপ বেশি কমে গেলে চিকিত্সকের পরামর্শে ওষুধের মাত্রা বা ধরন পাল্টানো যায়।
তেঁতুল বা টক খেলে রক্তচাপ কমে!
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আরেকটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো তেঁতুল বা লেবুর শরবৎ খেলে রক্তচাপ কমে। এমন ধারণার কোনো বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি নেই। উল্টো তেঁতুল ও টক-জাতীয় জিনিসের সঙ্গে লবণ মিলিয়ে খেলে রক্তচাপ আরও বাড়তে পারে।
এক ওষুধ বেশি দিন নয়!
কেউ কেউ মনে করেন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এক ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া ঠিক নয়। এটাও ভুল ধারণা। একই ওষুধ সেবনে যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে দীর্ঘদিন তা খাওয়া যায়।
ডিম-দুধ নিষিদ্ধ!
উচ্চ রক্তচাপ হলে ডিম ও দুধ খাওয়া বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে এটি অনেকে মানতে চান না। তারা মনে করেন, ডিম ও দুধ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোক এড়াতে চর্বিযুক্ত ও তেলে ভাজা খাবার কম খাওয়া ভালো।
## আপনার ডাক্তার: ডা. ফ্লোরিডা রহমান
আজ আমরা কথা বলেছি বন্ধাত্ব নিয়ে। মানুষ যত আধুনিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হচ্ছে বন্ধাত্বের সমস্যা তত বাড়ছে। দেশি-বিদেশি জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে কমপক্ষে ৪ শতাংশ মানুষ বন্ধাত্বের সমস্যায় ভুগছেন। অস্বস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার পদ্ধতি, ইত্যাদি বাড়িয়ে দিচ্ছে এ সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞা ডা. ফ্লোরিডা রহমান। ডা. ফ্লোরিডাঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একজন একজন সহকারী অধ্যাপক।
##কি খাবো, কি খাবো না: কত গুণ অ্যাভোকাডোর!
অ্যাভোক্যাডো একটি অসাধারণ স্বাস্থ্যকর ফল। একে এলিগেটর পিয়ার বা বাটার ফ্রুটও বলা হয়ে থাকে। বহুমুখী গুণের অধিকারী অ্যাভোকাডো একমাত্র ফল যাতে প্রচুর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এতে আরও থাকে ২০ রকমের ভিটামিন ও মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লাইকোপেন ও বিটা ক্যারোটিন। আসুন জেনে নেই অ্যাভোকাডোর স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো:
হৃদপিণ্ডের ওষুধ: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি আউন্স অ্যাভোকাডোতে ২৫ মিলিগ্রাম বিটা সাইটোস্টেরল থাকে। নিয়মিত বিটা সাইটোস্টেরল ও অন্য উদ্ভিজ স্টেরল গ্রহণ করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: অ্যাভোকাডোর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানের মিশ্র ক্রিয়া এবং এর ফাইটোকেমিক্যাল ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়া বন্ধ করে। এর ফলে মুখ, ত্বক ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: অ্যাভোকাডোতে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্টকে বন্ধ করে এবং অ্যাভোকাডোর দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে সুস্থিত করে। অন্য ফলের তুলনায় অ্যাভোকাডোতে চিনির পরিমাণ কম থাকে বলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি-সহায়ক: অ্যাভোকাডোতে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি ফাইটোকেমিক্যাল লুটেইন ও জেনান্থিন থাকে। এই দুটি উপাদান চোখে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, যা চোখের ক্ষতি কমাতে পারে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এজেন্ট: অ্যাভোকাডোতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান, ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিওক্সিডেন্ট, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড এবং পলিহাইড্রক্সিলেটেড ফ্যাটি অ্যালকোহল আছে, যা রিউম্যাটয়েড ও অষ্টিও আরথ্রাইটিসের নিরাময়ে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা: অ্যাভোকাডোতে গ্লুটাথায়ন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
পরিপাক: অ্যাভোকাডো একটি উচ্চমাত্রার ফাইবার-সমৃদ্ধ ফল, যা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে এবং পরিপাক নালী সুস্থ থাকে।
জন্মগত ত্রুটি রোধ: ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাভোকাডো কমিশনের মতে, গর্ভবতী মায়েদের জন্য অ্যাভোকাডো খুব ভালো খাবার। অ্যাভোকাডোতে পর্যাপ্ত ফলিক এসিড থাকে, যা স্পিনা বিফিদা ও নিউরাল টিউব ডিফেক্টের মতো নানা জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে।
অন্যান্য উপকার: এছাড়া অ্যাভোকাডোতে ভিটামিন থাকায় এটা ত্বকের জন্য খুব উপকারী এবং এই ফল ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে, ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কমায় ও বিভিন্ন প্রকার জটিল রোগের ঝুঁকি কমায়।
চোখের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আলাপন
জরিপ বলছে, বাংলাদেশে, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে চোখের চিকিত্সা প্রাপ্তিতে পুরুষের তুলনায় নারীরা অনেক পিছিয়ে। এই বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বেশ কিছু কর্মসূচি চালায় দেশে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রগাম্স মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত।
যারা তৈরি করেছেন এ অনুষ্ঠান:
শিহাবুর রহমান, শান্তা মারিয়া, আজহার লিমন, হাবিবুর রহমান অভি, তানজিদ বসুনিয়া, ও হোসনে মোবারক সৌরভ।