গত ৪ ও ৫ মার্চ থেকে যথাক্রমে চীনের জাতীয় গণকংগ্রেস (এনপিসি) ও রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন (সিপিপিসিসি)-র ত্রয়োদশ জাতীয় কমিটির চতুর্থ অধিবেশন বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে চীনের ‘দুই অধিবেশন’ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, বিশেষভাবে। কারণ, কোভিড-১৯ মহামারী ঠেকানোর পাশাপাশি, চীন অর্থনীতিসহ সমাজের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের অগ্রগতি ঠিকই অর্জন করেছে। যথাসময়ে ‘দুই অধিবেশন’ আয়োজন করাও এ পরিস্থিতিতে বড় সাফল্য। আজকের অনুষ্ঠানে চীনের ‘দুই অধিবেশন’ সম্পর্কে বিদেশি গণমাধ্যমের আগ্রহের বিষয়, চীনা জনগণের জীবনের ওপর দুই অধিবেশনের প্রভাব, এবং সিপিপিসিসি’র সদস্যদের উত্থাপিত কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবো।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে রয়টার্সের এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, সময়মতো দুই অধিবেশন আয়োজন করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে চীন সফলভাবে মহামারী ঠেকাতে পেরেছে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিও স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। মার্কিন ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর ঝামেলা এখনও রয়ে গেছে। এ অবস্থায় চীনের দুই অধিবেশন আয়োজন একটি বড় সাফল্য।
সিঙ্গাপুরের লিয়ানহে জাওবাও টানা কয়েকটি প্রবন্ধে চীনের দুই অধিবেশনের ওপর মন্তব্য করেছে। এবার মহামারীর কারণে শুধু বেইজিংয়ে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি সংবাদদাতারা দুই অধিবেশন কাভার করার সুযোগ পেয়েছেন। এ সম্পর্কে মালিয়েশিয়ার গণমাধ্যম বলেছে, মূলত ইন্টারনেট, ভিডিও ও লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাত্কার নিতে পারবেন সাংবাদিকরা।
এখানে একটি উল্লেখ্যযোগ্য ব্যাপার বলতে হবে, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতিতে চীনের জিডিপি ১০০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায়, যা বিদেশি গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয়। গণমাধ্যমগুলো বলেছে, এই উপাত্ত প্রমাণ করেছে যে, চীনের অর্থনীতির সহনশীলতা ও প্রাণশক্তি যথেষ্ট।
মার্কিন ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ বলেছে, চীনের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী, তাই মহামারী ঠেকাতে সক্ষম চীন। ‘অস্ট্রেলিয়ান’ পত্রিকার নিবন্ধে বলা হয়েছে, চরম দরিদ্রতা নির্মূল করেছে চীন, যা ‘অসাধারণ সাফল্য’। পাশাপাশি, বিশ্বের একমাত্র বড় অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও অর্জন করেছে চীন।
ব্যাংক অফ আমেরিকার গ্লোবাল রিসার্চ এশিয়া ডিভিশনের কর্মকর্তা ছিয়াও হুং বলেন, চীন বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সত্তার মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত মহামারীর আঘাত কাটিয়ে উঠেছে। তাই ২০৩৫ সালে চীনের জিডিপি বর্তমানের দ্বিগুণ হতে পারে।
২০২০ সালে চীনের সরকারি কার্যবিবরণীতে বার্ষিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির বিস্তারিত লক্ষ্যমাত্রা জানানো হয়নি। তাই চলতি বছর এ বিষয়টির ওপর বেশি মনোযোগ দেয় বিদেশি গণমাধ্যমগুলো। এ সম্পর্কে রয়র্টাস বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ২০২১ সালে চীনের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা খুব সম্ভবত থাকবে না। তবে, কর্মসংস্থান ও দ্রব্যমূল্যসংশ্লিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চীনা সরকার সমাজ ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
আসলে বিদেশি গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে চীনের দুই অধিবেশন দেশের নীতিমালা ও দিক্-নির্দেশনার প্রতীক। ২০২১ সালে দুই অধিবেশনের অনেক আলোচ্য বিষয় নিয়ে তাদের আগ্রহ আছে। সরকারি কার্যবিবরণী এবং গত বছরের শেষ দিকে প্রকাশিত চতুর্দশ পাঁচসালা পরিকল্পনার খসড়া বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। কারণ, এ পরিকল্পনায় চীনের সবুজ ও নব্যতাপ্রবর্তনভিত্তিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং দূরদর্শী লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারিত হয়েছে।
‘দুই অধিবেশন’ চীনা জনগণের কল্যাণে নিবেদিত
২০২০ সাল ছিল সারা বিশ্বের জন্যই অসাধারণ ও অপূর্ব একটি বছর। মহামারীর তাণ্ডব চলেছে বিশ্বজুড়ে। ঠিক সেই সময় চীন দুটি বড় যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। একটি হচ্ছে মহামারীর বিরুদ্ধে এবং অন্যটি অতিদারিদ্র্যর বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে সাফল্যের মূল কারণ সরকার সকল সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নিয়েছে জনগণকে কেন্দ্র করে। ক্ষমতাসীন পার্টি এক্ষেত্রে শুধু স্লোগান দিয়ে বসে থাকেনি, বরং সে অনুসারে কাজও করে গেছে। এনপিসি ও সিপিপিসিসি’র অধিবেশন তাতে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করেছে। চীনের বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলের সদস্য আর প্রতিনিধিরা দুই অধিবেশনের মাধ্যমে চীনের উন্নয়ন বাস্তবায়নে কার্যকর মতামত ও পরামর্শ দেন, তাদের বুদ্ধি সংযুক্ত করেন। আর এর মাধ্যমে চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুবিধাও ফুটে ওঠে।
সবসময় জনগণকে কেন্দ্র করে জনগণের সুন্দর জীবনের স্বপ্ন পূরণ করাকে লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা সিপিসি’র দেশ প্রশাসনের চালিকাশক্তি। এ চালিকাশক্তি দুই অধিবেশনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করে থাকে। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বারবার বলেছেন, ‘জনগণের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া ও স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য যে-কোনো ত্যাগ শিকার করতে হবে।’ তাই মহামারী ঠেকাতে উহান শহর লকডাউন করা হয়, বিভিন্ন প্রদেশের চিকিত্সকরা উহানে চিকিত্সাসেবা দিতে উপস্থিত হন। শিশু থেকে প্রবীণ পর্যন্ত—সব মানুষের জীবনকে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে গেছেন তারা। প্রতিজন রোগীর চিকিত্সার সকল ব্যয়ও বহন করেছে সরকার। আর এখন নাগরিকদের বিনামূল্যে কোভিডের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
চীনের দারিদ্র্যবিমোচন সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলতেন, ‘যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো।’ গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষকে ২০২০ সালের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্যমুক্ত করা ছিল সিপিসি’র প্রতিশ্রুতি। এ প্রতিশ্রুতি পূরণে লাখ লাখ সরকারি কর্মী ও কর্মকর্তা পরিশ্রম করেছেন। আর এ কাজ করতে গিয়ে ১৮০০ জনেরও বেশি তৃণমূল পর্যায়ের সরকারি কর্মচারি ও কর্মকর্তা প্রাণ দিয়েছেন।
বর্তমানে চীনের সকল মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। কিভাবে এ সাফল্য রক্ষা করতে হবে? কিভাবে গ্রামাঞ্চলের পুনরুত্থান বাস্তবায়ন করা যাবে? কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে এলেও, কিভাবে ভবিষ্যতে এমন দুর্যোগ এড়ানো যাবে? সচ্ছল সমাজ গঠনের মাধ্যমে কিভাবে চীনা জনগণের সুখী জীবন ও সন্তোষ নিশ্চিত করা যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তর ‘দুই অধিবেশন’ থেকেই আশা করে চীনা জনগণ।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিত্সা ও শিক্ষা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কর্মসংস্থান, বেতন, শিক্ষাগ্রহণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বাসস্থানের পর্যাপ্ত যোগান নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছে চীনের সরকার।
নীল আকাশ, সাদা মেঘ, সবুজ গাছ, সুন্দর ঋতু, মানুষ ও প্রকৃতির সুষম সহাবস্থান চীনে সুখী জীবনের প্রতীক। সামাজিক শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত হলে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। শিক্ষার মান বাড়ালে দেশ এগিয়ে যায়। লেখপড়া শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর অধিকার। অসুস্থতায় চিকিত্সা পাওয়া, বয়স্ক হলে বীমাব্যবস্থার আওতায় আসা, সবার বাসস্থান নিশ্চিত করা চীনে এখন সবার স্বাভাবিক প্রত্যাশা। এই প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা সচেষ্ট চীনের সরকার। সরকার চায় জনগণ সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হবে, তারা উন্নত দেশের উন্নত নাগরিকদের মতো জীবন কাটাবে, দারিদ্র্যমুক্ত হবার পর আরও সচ্ছল হবে, জনগণের আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদা বাড়বে, এবং দেশ অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির দিক দিয়ে আরও শক্তিশালী হবে। ২০২১ সালের ‘দুই অধিবেশনে’ এমন চাওয়া পূরণের রোডম্যাপ দেখা যাবে।
চলতি বছরকে অসাধারণ বর্ষও বলা যায়। কারণ চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তার শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করবে এ বছর এবং সার্বিকভাবে সচ্ছল সমাজ গঠনের লক্ষ্যমাত্রাও একই বছরে বাস্তবায়নের কথা। এ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে দেশের নতুন যাত্রা কিভাবে শুরু হবে? এ প্রশ্নের উত্তর ‘দুই অধিবেশনের’ প্রতিনিধি ও সদস্যদের পরামর্শ আর প্রস্তাব থেকে উঠে আসবে।
সিপিপিসিসি’র একজন সদস্য ওয়াং সিউয়ে তিয়ানের কথাই ধরা যাক। চরম দরিদ্র এলাকায় ১২ বছরের বাধ্যতামূলক বিনামূল্যের শিক্ষা বাস্তবায়নে তাঁর পরামর্শ পেশ করেন তিনি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, চীনে দারিদ্র্যবিমোচনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সার্বিক বিজয় হয়েছে। তবে শিক্ষার গুরুত্ব আরও বেশি। তাই দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে।
সদস্য ওয়াং সিপিপিসিসি’র স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। তিনি শানতুং বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস গবেষণাগারের নির্বাহী পরিচালক। চলতি বছরের ‘দুই অধিবেশনে’ তিনি আগের চরম দরিদ্র এলাকায় ১২ বছরের বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা এবং স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন, যাতে দারিদ্র্যমুক্ত পরিবারের অন্তত্য একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হতে পারেন। তার মতে, এভাবে শিক্ষার মাধ্যমে স্থানীয় দারিদ্র্যবিমোচনের সাফল্য ধরে রাখা যাবে।
তাঁর পরামর্শ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আগের চরম দরিদ্র এলাকায় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে শিক্ষার্থীদের অর্থ লাগে। এ অর্থ পরিবারকে বহন করতে হয়। কিন্তু এটা পরিবারগুলোর জন্য একটি বড় চাপ। এ চাপ সহ্য করা অনেক পরিবারের পক্ষেই সম্ভব নয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী স্রেফ অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট্ অঞ্চলগুলোতে সদ্য দারিদ্র্যমুক্ত পরিবারগুলোর উচ্চশিক্ষা গ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীদের আরও বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ, পেশাগত দক্ষতার চর্চা এবং চীনের উন্নত শহরের দ্বারা অনুন্নত এলাকাগুলোকে সাহায্য করার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আগের দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি আর্থিক চাপ। সেটি সমাধানে সরকার শিক্ষা-ঋণ দিচ্ছে ও খরচ কমিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন ব্যবস্থাও নিয়েছে। তবে চরম দরিদ্র পরিবারের লোকদের জন্য সেইটিও বড় বোঝা। তাই নতুন দারিদ্র্যমুক্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
তা ছাড়া, আগের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের স্নাতক হওয়ার পর কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা এবং তাদের জন্মস্থানে ফিরে নির্মাণকাজে নিজের অবদান রাখায় কিছু উত্সাহব্যাঞ্জক ব্যবস্থা চালু করতেও পরামর্শ দেন তিনি। এতে চীনের অনুন্নত এলাকায় শ্রেষ্ঠ যুবকদের থাকা নিশ্চিত করা যাবে এবং তারা নিজের জন্মস্থানের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।
এ সম্পর্কে সদস্য ওয়াং আরও বলেন, আসলে এমন নীতি চালু করে ভালো শিক্ষার্থীদের ভালো কর্মীতে পরিণত করা সম্ভব এবং তাদের দ্বারা দেশের সেবা করা সম্ভব। শিক্ষা মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে পারে। ব্যক্তি, পরিবার তথা দেশের উন্নয়নে ও সমৃদ্ধিতে শিক্ষা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়,আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো।আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে মিস হলে আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন।ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে তথ্য জানতে সক্ষম।
তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি,সবাই ভালো থাকুন,সুন্দর থাকুন,আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে, যাইচিয়ান।(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)