মার্চ ৩: মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয় গত সোমবার প্রকাশিত ‘২০২১ বাণিজ্যিক আলোচ্যসূচি প্রতিবেদন’ এবং ‘বার্ষিক বাণিজ্য প্রতিবেদন ২০২০’ প্রকাশ করেছে। এতে মার্কিন নতুন সরকারের বাণিজ্যিক রোডম্যাপ রয়েছে। এ ৩০৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৪ শতাধিকা বার চীনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন সরকার ‘সম্ভাব্য সব উপায়ে’ বেইজিংয়ের তথাকথিত ‘অন্যায্য বাণিজ্যিক পদ্ধতি’ মোকাবিলা করবে।
বস্তুত, এমন ইঙ্গিত উদ্বেগজনক। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সরকারের সৃষ্ট দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সংঘাতের ফল সবার চোখে পড়েছে। মহামারীর প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার জরুরি। এমন সময় মার্কিন পক্ষের এ মনোভাব অবাঞ্ছিত।
এ রোডম্যাপের রচনাকারীর নিজ দেশের সয়াবিন ও ভুট্টার চাষীদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল। কারণ, চীনের চাহিদা বাড়ার কারণে তারা সয়াবিন ও ভুট্টার চাষ আবার বাড়িয়েছে। রোডম্যাপ রচনাকারীদের উচিত মার্কিন বাণিজ্য চেম্বার ও রোডিয়াম গ্রুপের প্রতিবেদন ভাল করে পড়া। সেখানে বলা আছে, যদি চীনা পণ্যের ওপরে শুল্ক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরে মার্কিন ডিজিপিতে ১৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হবে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করলে উভয়ই লাভবান, সংঘর্ষ হলে উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কথা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্যিক রোডম্যাপ তৈরি করা। আর তা হতে হবে বাজার ও অর্থনৈতিক নিয়ম মেনে নিয়ে অবাধ বাণিজ্যে সহযোগিতা জোরদার করা এবং মতভেদ নিয়ন্ত্রণে রাখার রোডম্যাপ। (ইয়াং/আলিম/হাইমান)